এক মাসের জমজমাট নাটকে ইতি! এক ঝলকে দেখে নিন আস্থা ভোটের চাপান-উতর

  • গত শুক্রবার থেকে কর্ণাটকে আস্থা ভোট ঘিরে নানা রকম ওঠাপড়া লেগেই ছিল
  • অবশেষে কর্ণাটকে আস্থা ভোট হল এবং পরাজিত হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী
  • কর্ণাটকে পতন হল কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার

swaralipi dasgupta | Published : Jul 23, 2019 3:21 PM IST / Updated: Jul 23 2019, 08:53 PM IST

গত শুক্রবার থেকে কর্ণাটকে আস্থা ভোট ঘিরে নানা রকম ওঠাপড়া লেগেই ছিল। অবশেষে কর্ণাটকে আস্থা ভোট হল এবং পরাজিত হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। কর্ণাটকে পতন হল কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার। একবার দেখে নেওয়া যাক আস্থা ভোট কত রকমের মোড় নিল বিগত কয়েক দিনে- 

১) জুলাইয়ের প্রথম দিক থেকেই পরপর ১৬ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেন। এঁদের মধ্যে ১৩ জন কংগ্রেসের। বাকি ৩ জন জনতা দল (সেক্যুলার)-এর। সঙ্গে দুই নির্দল বিধায়কও ইস্তফা দিয়েছিলেন। কংগ্রেস জেডিএস জোট তখৱন থেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখে। 

২) কর্ণাটকে বিধানসভায় আসনসংখ্যা ২২৫। জোটের দখলে ছিল ১১৮টি আসন। ১৮ জন ইস্তফা দেওয়ায় এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১০০-য়। 

আরও পড়ুনঃ কর্নাটক নাটকের যবনিকা পতন, পরাজিত কুমারস্বামী! ধৈর্যের খেলায় বাজিমাত বিজেপির

৩) এর পরে ১২ জুলাই আস্থা ভোটের কথা ঘোষণা করা হয়। তার পরে কংগ্রেস, জেডিএস ও বিজেপি-তে চলতে থাকে চাপান উতর। ইস্তফা দেওয়া বিধায়কদের পদত্যাগ প্রথমে গ্রহণ করা হয়নি। 

৪) ইস্তফা দেওয়া বিধায়করা জানিয়ে দেন, আস্থা ভোট না হলে তাঁরা বেঙ্গালুরু যাবেন না। এর পরে প্রতিদিনই আস্থা ভোট নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে থাকে। কিন্তু সংগ্রেস-জেডিএস জোট তা বার বার পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। 

৫) রাজ্যপাল সময়সীমা ঠিক করে দেন দুবার। কিন্তু তা-ও আস্থা ভোট পিছনোর চেষ্টা করতে থাকে কুমারস্বামী সরকার। অবশেষে সেই আস্থা ভোটের ফল বেরোল আজ ২৩ জুলাই। পতন হল কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস সরকার। 

৬) এদিন ৯৯ ভোট যায় কুমারস্বামীর পক্ষে। বাকি ১০৫ ভোট যায় তাঁর বিপক্ষে। তাই এবার কর্ণাটকে শুরু হচ্ছে নতুন সরকার গড়ার প্রক্রিয়া।

Share this article
click me!