উত্তরপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড অযোধ্যা রায় মেনে নিলেও এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। এবার অযোধ্যা রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানালো মামলার অন্যতম পক্ষ হিন্দু মহাসভাও। অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির নির্দেশের বিষয়ে তাদের আপত্তি না থাকলেও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড-কে অযোধ্যায় মসজিদ গড়ার জন্য বিকল্প পাঁচ একর জমি দেওয়ার বিরোধিতা করছে তারা।
হিন্দু মহাসভার আইনজীবী বিষ্ণু জৈন জানিয়েছেন, সোমবার তাঁরা অযোধ্যা বা অন্য কোনও জায়গায় মুসলিম পক্ষকে মসজিদ গড়ার জন্য পাঁচ একর জমিদানের বিরোধিতা করবেন। তাঁর মতে অযোধ্যা মামলা ছিল শুধুমাত্র অযোধ্যার ২.৭৭ একর জমির মালিকানা নিয়ে। তার সঙ্গে মুসলিম পক্ষকে ৫ একর বিকল্প জমিদানের কোনও সম্পর্ক নেই। তাই আদাবতের এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করছেন তাঁরা।
গত ৯ নভেম্বর দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে চলা এই মামলার রায় দিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। রায়ে বলা হয়েছিল অযোধ্যার বিতর্কিত জমির মালিকানা পাবেন রামলালা বিরাজমান গোষ্ঠী। কেন্দ্রীয় সরকারকে রামমন্দির নির্মাণের জন্য ৩ মাসের মধ্যে একটি ট্রাস্ট গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ওই রায়ে আরও বলা হয়েছিল, অযোধ্যাতেই কোনও মুখ্য এলাকায় উত্রপ্রদেশ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে কেন্দ্রীয় সরকার কিংবা উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার বিকল্প পাঁচ একর জমি দেবে, একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য।
এরপর সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে এই রায়ের বিরোধিতা করা হবে না। তবে প্রস্তাবিত পাঁচ একর জমি তারা নেবে কি নেবে না তাই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড গত ১৭ নভেম্বর এই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায় শীর্ষ আদালতে। একই সঙ্গে তারা বিকল্প পাঁচ একর জমি নিতে অস্বীকার করেছিল।
অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভি জানিয়েছেন, যদি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড ওই পাঁচ একর জমি না নিতে চায়, সেই ক্ষেত্রে তাঁরা ওই জমি নিতে রাজি আছেন। তবে সেখানে কোনও মসজিদ নয়, ভগবান রাম-এর নামে তাঁরা একটি হাসপাতাল বানাবেন, সেখানেই একটি মসজিদ, মন্দির, গুরুদ্বার এবং গির্জা স্থাপন করবেন।