কাশ্মীর নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে অমরনাথ যাত্রী এবং পর্যটকদের কাশ্মীর ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে উপত্যকার পরিস্থিতি আরও থমথমে হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই ফিরে আসছেন সেখান থেকে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা চাইছেন বিরোধীরা। কাশ্মীর প্রসঙ্গে ঠিক কী ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার সেই বি ষয়েই সংসদে বিবৃতির দাবি জানিয়েছে বিরোধীরা।
আর এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রবিবার নিরাপত্তা দফতরের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন বলে জানা গিয়েছে। মন করা হচ্ছে, জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নি য়ন্ত্রণের বিষয়েই আলোচনায় বলেছিলেন তিনি। প্রায় এক ঘণ্টার এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবা-সহ এবং অন্যান্য শীর্ষকর্তারা।
তবে এই আলোচনায় ঠিক কোন কোন বিষয় উঠে এসেছে তা এখনই স্পষ্ট করে যায়নি। প্রসঙ্গত কাশ্মীরের রাস্তায় পাক সেনাবাহিনীর ব্যবহার করা ল্যান্ডমাইন এবং রাইফেল উদ্ধার হওয়ার পরই কাশ্মীরে অমরনাথ যাত্রী এবং সাধারণ পর্যটকদের উপত্যকা ছেড়ে চলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আর এই নির্দেশ পাওয়ার পরই ঘরমুখো হন অধিকাংশ পর্যটকরা, শ্রীনগর এনআইটির পড়ুয়ারাও ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে উপত্যকা ছাড়ার নির্দেশ পাওয়ার পর কার্যচ থমথম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। সারা দেশের মানুষের মনে একটাই আশঙ্কা, কাশ্মীরে তড়িঘড়ি বিপুল পরিমাণে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার পিছনে কি বিশেষ কোনও কারণ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কাশ্মীরকে নিয়ে বিশেষ কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কি না তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।