
লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার স্থানে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের তদারকি করতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উপস্থিত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিঞ্জরাপু, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সঙ্ঘভী। বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ধরণের লন্ডনগামী বিমানটিতে ১২ জন ক্রু সদস্যসহ ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ানের কিছুক্ষণ পরে আজ বিকেলে বিমানটি আমেদাবাদের মেঘানি নগর এলাকায় একটি ডাক্তারদের হোস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে। DGCA অনুসারে, দুর্ঘটনাটি ভারতীয় সময় বিকেল প্রায় ১:৩০ টায় ঘটে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা।
এদিকে, আমেদাবাদ পুলিশ কমিশনার জিএস মালিক নিশ্চিত করেছেন যে, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর একজন জীবিত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ANI-কে দেওয়া এক ফোনকলে মালিক বলেন, "পুলিশ ১১A নম্বর আসনে একজন জীবিত ব্যক্তিকে পেয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং চিকিৎসাধীন। এখনও মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। বিমানটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।"
বিমান দুর্ঘটনার পর, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (CRPF) উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য প্রায় ১৫০ জন কর্মী মোতায়েন করেছে।
CRPF-এর একটি বিবৃতি অনুসারে, গান্ধীনগরে CRPF-এর গ্রুপ সেন্টারের কর্মীদের সঙ্গে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (RAF)-এর ১০০ ব্যাটালিয়নের সৈন্যদের দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। গুজরাট সরকার উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করার জন্য গান্ধীনগর থেকে ৯০ জন কর্মী নিয়ে গঠিত তিনটি জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (NDRF) দলও মোতায়েন করেছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, লন্ডনের গ্যাটউইকগামী AI171 ফ্লাইটে ২৩০ জন যাত্রীর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, একজন কানাডিয়ান এবং সাতজন পর্তুগিজ নাগরিক ছিলেন।