
দীর্ঘদিন ধরে চলছে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নিয়ে বিতর্ক। নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নিয়ে চলতে থাকা বিতর্কের মাঝে বিশেষ বার্তা দিল মোদী সরকার। জানিয়েছে, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের রেজিস্টার করা এবং যারা রেডিস্টার করছেন তাঁদের পরিচয়পত্র প্রদান করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার লোকসভায় এই নিয়ে বিশেষ নথি প্রকাশ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মালা রায়ের ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য গ্রহণযোগ্য নথি কী হবে, সে সম্পর্কে জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানা গিয়েছে, ‘১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনে ২০০৪ সালের সংশোধনী কেন্দ্রীয় সরকারকে সমস্ত নাগরিকদের রেজিস্টার এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের ক্ষমতা দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ সালে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে এই নথিটি প্রদানের প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত করা হয়েছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র সেই সব নাগরিকদের দেওয়া যেতে পারে যাদের বিবরণ জাতীয় ভারতীয় নাগরিক নিবন্ধক বা জাতীয় নাগরিকগঞ্জি বা এনআরসিতে লিপিবন্ধ আছে।’
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘কেবলমাত্র এনআরসিতে নাম তুলেছেন এমন নাগরিকরাই জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যোগ্য। তবে অসমই এক মাত্র রাজ্য যেখানে এখনও পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। যদিও সরকার এখনও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়নি কারণ ২০১৯ সালে প্রকাশিত এনআরসি খসড়া আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে’
এদিকে ২০১৯-২০ সালে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবং এনআরসি ঘিরে বিক্ষোভে সারা দেশে ৮৩ জন নিহত হয়েছিলেন। এরপর কেন্দ্রের তরফ থেকে সংসদে জানানো হয় যে, ‘এখনও পর্যন্ত সরকার জাতীয় পর্যায়ে এনআরসি করার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।’ এদিকে বিজেপি তাদের ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার থেকে এনআরসি বাদ দিয়ে দেয়। যদিও এই এনআরসিই ছিল তাদের ২০১৯ সালের ইশতেহারের অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি।
এই সব বিতর্কের মাঝে সকলের মনে একটাই প্রশ্ন, তা হল নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কী নথি দেবে মন্ত্রক? কর্মকর্তাদের মতে, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে যে সব গুরুত্বপূর্ণ নথি পেশ করা যেতে পারে তার মধ্যে ভোটার আইডি কার্ড, ভারতীয় পাসপোর্ট এবং জন্ম শংসাপত্র আছে।