'ওয়েলকাম ইন বিকিনি'-মুম্বইয়ের মডেলের হানিট্র্যাপে পা দিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য হত হিন্দু যুবকরা! ফাঁস নোংরা চক্রান্ত

মডেল তার হট ভিডিও এবং ছবি ছেলেদের কাছে পাঠাত। বিষয়টি এগোলে মডেল তাকে তার রুমে ডাকতেন। ছেলেরা বাড়িতে আসার সাথে সাথে তিনি বিকিনি পরে তাদের সাথে দেখা করতেন।

Parna Sengupta | Published : Aug 2, 2023 3:19 PM IST

কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে এক মডেল তার সৌন্দর্যের জালে আটকে যেভাবে মানুষকে ব্ল্যাকমেল করতেন, সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর চমকে গিয়েছে নেটদুনিয়া। বেঙ্গালুরুতে সক্রিয় এই হানিট্র্যাপে যুক্ত ছিল মুম্বইয়ের এক মডেল। এই মডেল সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্ল্যাকমেল করার জন্য ভিকটিম খুঁজে বের করতেন। প্রথমে সে তার প্রেমের ফাঁদে ধনী ছেলেদের ফাঁদে ফেলত তারপর তাদের সাথে শুরু করত নোংরা ব্যবসা।

মডেল তার হট ভিডিও এবং ছবি ছেলেদের কাছে পাঠাত। বিষয়টি এগোলে মডেল তাকে তার রুমে ডাকতেন। ছেলেরা বাড়িতে আসার সাথে সাথে তিনি বিকিনি পরে তাদের সাথে দেখা করতেন। প্রথম সাক্ষাতে নিজেই আলিঙ্গন করতেন মডেল। ভিকটিমকে জড়িয়ে ধরার সাথে সাথে শুরু হত ব্ল্যাকমেলিং এর ব্যবসা।

যুবকদের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করার হুমকি দেওয়া হত এবং তা না করার পরিবর্তে তাদের কাছে লাখ লাখ টাকা চাওয়া হয়। পুত্তেনাহাল্লি পুলিশ এই চক্রকে ধোঁকা দিয়েছে। এ মামলায় মোট ৫ জন জড়িত। তারা এই গ্যাং থেকে কাজ করছে। অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে শরণ প্রকাশ বালিগেরা, আব্দুল খদ্দর ও ইয়াসিনকে। মুম্বাইয়ের মডেল নেহা ও মেহর পলাতক। অপর আসামি নাদিমকে খুঁজছে পুলিশ।

২০ থেকে ৫০ বছরের পুরুষদের টার্গেট করত

মডেল নেহার টার্গেট হত ২০ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষরা। টেলিগ্রামের মাধ্যমে মানুষকে ব্ল্যাকমেইল করত এই মডেল। শিকরাকে জেপি নগরের একটি বাড়িতে যৌন সম্পর্ক করার জন্য আমন্ত্রণ জানাত। এই চক্রটি ভিকটিমদের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করত। মুম্বইয়ের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারও এই গ্যাংয়ের শিকার হয়েছেন।

মানুষ কিভাবে হানিট্র্যাপে আটকা পড়ে?

নেহা এই গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড। সে বেশ কয়েকটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট চালায় যেখানে সে ছবি আপলোড করত। মোটা টাকা নিয়ে বেছে বেছে লোকেদের শিকার করত। লোকের সাথে অশ্লীল কথা বলতো, পরে লোকজন তার ফাঁদে পা দিতো। মানুষের সাথে ভিডিও কলও করত।

টার্গেট ধরে ফেলার পরই এন্ট্রি নিত ব্ল্যাকমেইলাররা

নির্যাতিতা বাড়িতে পৌঁছানোর পর ভিডিওটি রেকর্ড করার সাথে সাথে লোকেরা মেয়েটির সাথে ছবি তুলতে শুরু করত। তারা ভিকটিমের মোবাইল ছিনতাই করত, সব নম্বর লিখে রাখত এবং তারপর শুরু করত ব্ল্যাকমেলিংয়ের খেলা। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হয়।

ইসলাম গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করত

হানিট্র্যাপে আটকে থাকা শিকাররা মডেলকে বিয়ের জন্য চাপ দিত। এরপর সে নিজেকে একজন মুসলিম বলে দাবি করে শিকারকে ধর্ম পরিবর্তন করার জন্য চাপ দিত। পাশাপাশি অভিযুক্তকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতেও রাজি হত তারা। এক হানিট্র্যাপে আটকে পড়া ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

Share this article
click me!