
মহারাষ্ট্রের হরিহর দুর্গে ভিড় জমার ভয়ঙ্কর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল। হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। পাহাড়ের সংকীর্ণ পাকদণ্ডীতে প্রচুর মানুষের ভিড়। অ্যাডভেঞ্চারের অভিজ্ঞতা যে কোনও মুহূর্তেই হতে পারে মরণফাঁদ। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিডায় ভাইরাল হওয়ায় অনেক নেটিজেনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। হরিহর দুর্গ মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় একটি পর্যটনকেন্দ্র। এটি ট্রেকিং সাইট হিসেবেও উল্লেখযোগ্য। কিন্তু এত মানুষের ভিড় থাকলেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মিডিয়ায় শেয়ার হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ৩,৬৭৬ ফুট উঁচু পাহাড়ে কাতারে কাতারে মানুষ দাঁড়িয়ে রয়েছে। ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে অ্যাডভেঞ্চারের আশায় দর্শনার্থীরা ৬০-৭০ ডিগ্রি খাড়া কোণে অবস্থিত বিপজ্জনক ২০০ ফুট পাথরের সিঁড়ি বেয়ে উঠছেন, সংকীর্ণ স্থান এবং পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি দেখে তারা বিচলিত নন।
কয়েক হাজার আরোহীরে আবার পাহাড়ের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকতে বা বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। সেই এলাকায় ভিড় এতটাই বেশি যে নড়াচড়া করার জায়গা পর্যন্ত নেই। যার কারণে গোটা পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে পড়েছিল। দুর্ঘটনা না ঘটলেও যে কোনও সময় বড় ঘটনা ঘটতে পারত বলেও মনে করছেন অনেকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, 'মৃত্যু ফাঁদ'। নেটিজেনরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কোনও একজন মানুষ একটু অসতর্কত হলেই শত শত মানুষের মৃত্যু অনিবার্য। দেখুন সেই ভিডিও। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।
হরিহর দুর্গের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে নাসিকের বনবিভাগের হাতে। এই দুর্গ দর্শনের জন্য পর্যটকদের নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ফি হিসেবে দিতে হয়। প্রতিদিন ৩০০ পর্যটক দুর্গে ট্রেকিং করে উঠতে পারবে। এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কাতারে কাতারে মানুষ কী করে পৌঁছে গেল দুর্গের চূড়ায় তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
হরিহর দুর্গ একটি পর্যটক কেন্দ্র। নাসিক শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ইগতপুরী এলাকায় রয়েছে। হরিহর দুর্গ তৈরি হয়েছিল সেউনা রাজবংশের আমলে। একটি ছোট প্রবেশদ্বার সহ একটি গুদাম ছাড়া দুর্গে কোন ভাল অবকাঠামো অবশিষ্ট নেই৷ দুর্গের কেন্দ্রে ৪ টি পাথর-কাটা জলাধারের সারি রয়েছে। পুরো দূর্গটি দেখতে মোটামুটি এক ঘন্টা সময় লাগে। র্গ থেকে বাসগড়, ব্রহ্মগিরি, কাপদ্যা, ব্রহ্ম পাহাড় এবং ফেনির মনোরম দৃশ্য দেখা যায়। বিখ্যাত খাড়া সিঁড়ি ট্রেকারদের আকর্ষণ করে।