দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গোপনাঙ্গে তালা, সন্দেহবাতিক স্বামীর চাপে আত্মহত্যার চেষ্টা স্ত্রী-র

  • ইন্দোরে এক ভয়ঙ্কর গার্হস্থ হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে
  • সন্দেহবাতিক স্বামীর জ্বালায় প্রাণ ওষ্ঠাগত স্ত্রীর
  • স্ত্রী পর-পুরুষের সঙ্গে যাতে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত না হতে পারে তাই অদ্ভূত পদক্ষেপ স্বামীর
  • যার জেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন স্ত্রী

 

Asianet News Bangla | Published : Dec 27, 2019 3:33 PM IST / Updated: Dec 27 2019, 09:04 PM IST

তবে প্রতিবেশীরা ওই মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় মহিলা প্রাণে বেঁচে যান। চিকিত্সার করতে গিয়েই এই বিস্ময়কর ও অমানবিক বিষয় প্রকাশ্যে আসে। চিকিৎসকদের কাছে ওই মহিলা তাঁর স্বামীর কুকীর্তি ফাঁস করে দেন। এরপরই পুলিশে খবর দেন ডাক্তাররা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা আত্মহত্যা করার চেষ্টা না করলে এই অদ্ভূত বিষয়টি প্রকাশ্যে হয়তো কোনও দিনই আসত না।


অশিক্ষিত নন, তিনি উচ্চশিক্ষিত। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে বড় চাকরিও করেন। কিন্তু মন তাঁর পড়ে আছে সেই মধ্যযুগে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি স্ত্রীর গোপনাঙ্গে তালা লাগিয়ে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে প্রায়শই স্বামী-স্ত্রী'তে ঝগড়া হত। অবশেষে বৃহস্পতিবার, রাগে দুঃখে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন স্ত্রী।

তবে প্রতিবেশীরা ওই মহিলাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় মহিলা প্রাণে বেঁচে যান। চিকিত্সার করতে গিয়েই এই বিস্ময়কর ও অমানবিক বিষয় প্রকাশ্যে আসে। চিকিৎসকদের কাছে ওই মহিলা তাঁর স্বামীর কুকীর্তি ফাঁস করে দেন। এরপরই পুলিশে খবর দেন ডাক্তাররা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা আত্মহত্যা করার চেষ্টা না করলে এই অদ্ভূত বিষয়টি প্রকাশ্যে হয়তো কোনও দিনই আসত না।

জানা গিয়েছে, স্ত্রী কোনও পর-পুরুষের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বেন বলে আশঙ্কা করতেন তাঁর স্বামী। আর সেই কারণেই বেশ কয়েক বছর আগে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে 'চেস্টিটি বেল্ট' বা 'কৌমার্য বন্ধনী' লাগিয়ে তাতে তালা লাগিয়ে দেন। চাবিটি রেখে দেন নিজের কাছে। স্বামীর এই সন্দেহ বাতিক নিয়ে অনেকবারই সরব হয়েছেন স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। তাতে কোনও কাজ না হওয়াতেই তিনি আত্মহনন করতে গিয়েছিলেন।

ইদানিংকালে, ভারতে এমন অনেক ঘটনাই ঘটছে, যেগুলি মানবতার সমস্ত সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। তবে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে কৌমার্য বন্ধনী বেঁধে তাতে তালা লাগানোর ঘটনা এযাবৎ ভারতে শোনা যায়নি। ইউরোপে অবশ্য এরকম ঘটনার কথা শোনা গিয়েছে। তাই ইন্দোরের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ আত্মহত্যায় ইন্ধন ও গার্হস্থ্য হিংসা অভিযোগ দায়ের করেছে। তবে ওই দম্পতির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

 

Share this article
click me!