ভোট মিটতেই সামনে এল বায়ুসেনার লজ্জা! দোষী অফিসারদের হতে পারে কড়া সাজা

Published : May 22, 2019, 01:01 PM ISTUpdated : May 22, 2019, 01:09 PM IST
ভোট মিটতেই সামনে এল বায়ুসেনার লজ্জা! দোষী অফিসারদের হতে পারে কড়া সাজা

সংক্ষিপ্ত

ভোটের আগে শুধুই ভারতীয় সেনা বাহিনীর সাফল্যের কথা শোনা যাচ্ছিল এবার সামনে এল বায়ুসেনার চরম ব্যর্থতার নিদর্শন বুদগামে ভুল সিদ্ধান্তে নিজেদেরি ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ধ্বংস হয়েছিল নিজেদেরই কপ্টার দোষী অফিসারদের কড়া শাস্তির সম্ভাবনা

ভোটের আগে শুধুই ভারতীয় সেনা বাহিনীর সাফল্যের কথা শোনা যাচ্ছিল। যা নিয়ে জনসভার পর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন জনতাকে, 'আপ কা গর্ব হুয়া কি নেহি হুয়া'? তবে ভোট মিটতেই ভারতীয় বায়ুসেনার ব্যর্থতার এমন ঘটনা সামনে এল যে লজ্জায় মাথা হেট হয়ে যেতে পারে। ২৭ অক্টোবর অর্থাৎ যেদিন পাকিস্তানি যুদ্ধ বিমানকে তাড়া করে বন্দী হয়েছিলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান, সেই দিনই শ্রীনগরের বুদগামে ভেঙে পড়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার একটি কপ্টার। তদন্তে জানা গিয়েছে বায়ুসেনারই ছোড়া মিসাইল আঘাত করেছিল কপ্টারটিকে।

শ্রীনগরের বায়ুসেনার ঘাঁটি থেকে ওড়ার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার এমআই-১৭ ভি-৫ চপারটি। তার কিছু আগেই পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান সীমান্ত পার করে ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে আক্রমণ চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে। তারপরই বায়ুসেনার যাবতীয় ইউনিটকে সতর্ক করা হয়। যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলা হয়।

এরপর রেডারে ওই কপ্টারটি ধরা পড়লে সেটি যে নিজেদেরই কপ্টার তা বুঝতে পারেনি বায়ুসেনা। ধীর গতিতে উড়তে দেখে সেটিকে পাকিস্তানি ড্রোন বলে মনে করা হয়। এর পাশাপাশি কাজ করেনি 'আইডেন্টিফাই ফ্রেন্ড অর ফো' ব্যবস্থাও। এই ব্যবস্থায় সেনা ঘাঁটি থেকে কোনও উড়ন্ত যানে একটি সিগনাল পাঠিয়ে তার জবাব যাছাই করে সেটি ভারতীয় না অন্য কোনও দেশের তা বোঝা যায়। এই ব্যবস্থা কাজ না করার পরেই এক টার্মিনাল ওয়েপন ডিরেক্টর ওই কপ্টারটি লক্ষ্য করে ইসরাইলে তৈরি স্পাইডার এয়ার ডিফেন্স নিসাইল নিক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর ১২ সেকেন্ডের মধ্যেই ৬ সেনা জওয়ান সহ ধ্বংস হয়েছিল বায়ুসেনার ওই চপার। ঘটনায় এক অসামরিক ব্যক্তিরও মৃত্যু হয়েছিল।

ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে বেশ কিছু নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছিল।  ঘটনার পিছনে ওই টার্মিনাল ওয়েপন ডিরেক্টর-এর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশ্ন রয়েছে মিসাইলটির লঞ্চিং ডকে উপস্থিত থাকা আরও চার বায়ুসেনা অফিসারের ভূমিকা নিয়েও। একই সঙ্গে 'আইডেন্টিফাই ফ্রেন্ড অর ফো' ব্যবস্থা কাজ করল না কেন, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এতদিন একটি 'ফ্রেন্ডলি ফায়ার'-এর ঘটনা হিসেবে তদন্ত চালানো হয়েছে। কিন্তু এখন যা প্রমাণ মিলেছে, তাতে এরপর সেনা আইন মেনে কোর্ট মার্শাল শুরু করা হবে। দোষী অফিসারদের চাকরি তো যাবেই এমনকী সশ্রম কারাদণ্ডের সাজাও মিলতে পারে। কারণ ঘটনাটিকে অনিচ্ছাকৃত হত্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শ্রীনগর এয়ার বেসের এয়ার কমান্ডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর একটি রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানো হবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে।

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি