ভারতের উদ্দেশ্য়ে একের পর এক হুমকি দিচ্ছেন ইমরান খান। তাঁর এইসব মন্তব্যকে 'চরম দায়ীত্বজ্ঞানহীন' বলে সমালোচনা করল ভারত। বিদেশ দফতর এক বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী ভারতে জেহাদের ডাক দিচ্ছেন। যদিও রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের চিঠি দেওয়াকে একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।
ভারত জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই সীমান্তের ওইপার থেকে প্রতিদিনই কখনও প্রত্যক্ষে, কখনও পরোক্ষে হুমকি দিচ্ছেন ইমরান খান। তাঁর এইসব মন্তব্যকে 'চরম দায়ীত্বজ্ঞানহীন' বলে কড়া সমালোচনা করল ভারতের বিদেশ দফতর। এদিন বিদেশ দফতর এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে পার প্রধানমন্ত্রী জেহাদের ডাক দিচ্ছেন, ভারতে হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন।
এদিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, 'ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাক নেতৃত্বের অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করছি। এই বিবৃতিগুলির মধ্যে জেহাদের আহ্বান এবং ভারতে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়াও রয়েছে। এসবই করা হচ্ছে কাশ্মীরে এটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রয়েছে তা দেখানোর উদ্দেশ্যে। বাস্তব ছবিটা কিন্তু তা নয়। পাকিস্তানের বোঝা উচিত মিথ্যা ও ছলনার ভিত্তিতে তাদের এই উস্কানিমূলক বক্তৃতার বিষয়টা বিশ্ব ধরে ফেলেছে।' তিনি আরো বলেন সন্ত্রাসবাদকে পাকিস্তান, ভারতের বিরুদ্ধে দেশীয় নীতি হিসেবে ব্যবহার করছে।
শুধু উস্কানিমূলক মন্তব্যই নয়, একই সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে কূটনৈতিক কার্যক্রমও বজায় রেখেছে পাকিস্তান। পাক মানবাধিকার মন্ত্রী শিরীন মাজারি সম্প্রতি কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে ভারত, এই অভিযোগ করে চিঠি দিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘে। সেই চিঠিকে অবশ্য একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছে না বিদেশ মন্ত্রক। রবীশ কুমার বলেছেন, যে কাগজে চিঠিটি লেখা হয়েছে, চিঠির বয়ানের মূল্য তার থেকেও কম। কাজেই সেই চিঠি নিয়ে মন্তব্য করে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চান না রভীশ।