শিবসেনার নিশানায় জগদীপ ধনখর, তবে কি জাতীয় রাজনীতিতে তৈরি হচ্ছে নতুন সমীকরণ


জাতীয় রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত

জগদীপ ধনখরের বিরুদ্ধে মুখ খুলল শিবসেনা

যা নিয়ে জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে

তাহলে কি হাত মেলাতে পারে এনডিএ-র দুই পুরোনো সঙ্গী

amartya lahiri | Published : Oct 17, 2020 4:26 AM IST / Updated: Oct 29 2020, 12:45 PM IST

তবে কি জাতীয় রাজনীতিতে তৈরি হচ্ছে নতুন সমীকরণ? বিজেপি তথা এনডিএ-র এক সময়ের দুই পুরোনো সঙ্গী কি হাত মেলাতে চলেছে একসঙ্গে? বিজেপি বিরোধিতায় জোট বাঁধবে মারাঠা এবং বাংলা? এখনই তা বলাটা হয়তো খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। কিন্তু, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত-এর বক্তব্যে এরকম একটা সম্ভাবনার সূক্ষ্ম আভাস দেখা গিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার, এই দাপুটে শিবসেনা নেতা বলেছেন রাজ্যপাল, ভারতের রাষ্ট্রপতি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের 'পলিটিকাল এজেন্ট'। কারণ তাঁরা রাজনৈতিক কাজকর্মই  করেন। আর এই হিসাবে তাঁর মতে ভারতে মাত্র দু'জন গভর্নর বা রাজ্যপাল আছেন - একজন পশ্চিমবঙ্গে এবং অন্যজন মহারাষ্ট্রে। বাকি রাজ্যের রাজ্যপালদের ভূমিকা সম্পর্কে তাঁর জানা নেই বলেই জানিয়েছেন রাউত। কারণ তাঁদের কোনও কথা শোনা যায় না। কিন্তু, বাংলা ও মারাঠা - এই দুই জায়গাতেই সরকার বিজেপি বিরোধী দলের হাতে থাকায়, এই দুই রাজ্যের রাজ্যপালই সক্রিয়।

বস্তুত, মহামারির মধ্যে মন্দির খোলার বিষয় নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে সম্প্রতি নতুন করে বাদানুবাদে জড়িয়েছেন সেখানকার রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি। যখন মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন মন্দিরগুলির বাইরে পূজা শুরু করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা, সেই সময়ই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বি.এস. কোশিয়ারি, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে গত মঙ্গলবার একটি চিঠি দিয়ে মন্দির খোলার বিষয়ে চাপ দেন। শিবসেনা প্রধান হঠাৎ 'ধর্মনিরপেক্ষ' হয়ে গেলেন কিনা এমন প্রশ্নও তোলেন। যদিও, ভারতবর্ষ সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রই বটে। এই নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে জোর তর্কে জড়িয়েছে শিবসেনা। 'হিন্দুত্ববাদে'র  তাঁর রাজ্যপাল শংসাপত্রের দরকার নেই, বলে জানিয়েছেন উদ্ধব।

প্রায় একই চিত্র দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও। রাজ্যপাল হিসাবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিটি বিষয়েই রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি দারুণ সক্রিয়। প্রায় প্রতিদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তুলোধোনা করে থাকেন তিনি। সাম্প্রতিক বিরোধ, বিজেপির মিছিলে এক শিখ যুবককে পুলিশি হেনস্থা করা নিয়ে রাজ্যপালের মমতা সরকারের তীব্র সমালোচনা। এই অবস্থায় শিবসেনা নেতার মন্তব্য দারুণ তাৎপর্যপূর্ণ এবং ভবিষ্যত রাজনীতির ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করা হচ্ছে।

 

Share this article
click me!