এক উদ্ভট ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর প্রদেশের এক বিয়ে বাড়ির অতিথিরা। কারণ তাঁদের বিয়ে বাড়ির ভোজসভায় উপস্থিত হওয়ার আগে আধার কার্ড দেখতে চাওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় অনেকেই অপমানিত বোধ করে বিয়ে বাড়ির ত্যাগ করেন। অনেকে আবার আধার কার্ড দেখিয়ে ভোজ খেয়েছেন
এক উদ্ভট ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তর প্রদেশের এক বিয়ে বাড়ির অতিথিরা। কারণ তাঁদের বিয়ে বাড়ির ভোজসভায় উপস্থিত হওয়ার আগে আধার কার্ড দেখতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু যাদের সঙ্গে আধার কার্ড ছিল না তাদের খালি পেটেই বিদায় নিতে হয়েছে। এই ঘটনায় অনেকেই অপমানিত বোধ করে বিয়ে বাড়ির ত্যাগ করেন। অনেকে আবার আধার কার্ড দেখিয়ে ভোজ খেয়েছেন। যাইহোক গোটা ঘটনা একদমই নজিরবিহীন বলেও দাবি করেছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা।
উত্তর প্রদেশের আমরোহা জেলা। সেখানেই একটি বিয়ে বাড়ির অতিথিদের কাছ থেকে আধার কার্ড দেখতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্ত কেন ? এই প্রশ্নটাই উঠছে তো! উত্তর হল বিয়ে বাড়ির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন তাঁদের বাড়িতে উপস্থিত অতিথির সংখ্যা নিমন্ত্রিতের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ভোজসভায় উপস্থিত অনেককেই তারা চিনতে পারেনি। বিয়ের বাড়ির আয়োজকদরে অনুমান বিনা নিমন্ত্রিত অনেকেই উপস্থিত হয়েছিল। সেই কারণেই আধারকার্ড দেখতে চাওয়া হয়েছিল।
বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, বিয়েবাড়িতে আমন্ত্রিতের বিশাল উপস্থিতি দেখে সেই পরিবারের সদস্যরা রীতিমত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। সেই কারণেই খাবার জায়গায় প্রবেশের আগে তাই তাদের কাছ থেকে আধার কার্ড দেখতে চাওয়া হচ্ছিল।
যদিও বেশ কিছু প্রকৃত অতিথি যারা তাদের আধার কার্ড ছাড়াই এসেছিলেন, তারা এটিকে অপমান হিসাবে দেখেছিলেন এবং না খেয়েই অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেছিলেন, আরও কয়েকজন যাদের কাছে তাদের আধার কার্ড ছিল তারা ভিতরে গিয়ে খাবার উপভোগ করেছিলেন।
তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে আমরোহা গ্রামে একই দিন অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর দুটি বিয়েবাড়ি ছিল কাছাকাছি। দুটি ছিলেন মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। যেখানে বরযাত্রী বা বারাতি এসেছিল। অনেক বারাতি অবস্য প্রথমে বুঝতে পারেননি কোনটা তাদের বিয়ে বাড়ি। আর সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হয়। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি বিয়ে বাড়িতেই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। আর বিয়েবাড়িতে উপস্থিত কিছু বিবেকবান ব্যক্তি সমস্যা সমাধান করেছিলেন।