
Ashwini Vaishnaw: বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) সুরক্ষায় একটি ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছে ভারত। এমনটাই দাবি করেছেন দেশের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পৃথিবীর নানা দেশ যখন এআই সুরক্ষাকে মূলত একটি আইনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে, ভারত তখন একটি প্রযুক্তি-আইনি পদ্ধতি অনুসরণ করছে বলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ব্যাখ্যা করেন। নীতি আয়োগ আয়োজিত এআই উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে তিনি এই কথা জানান।
কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, “এআই ফিল্ডে কঠোর নিয়ন্ত্রণের চেয়ে উদ্ভাবনকেই ভারত বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই পদ্ধতি ইউরোপ এবং বিশ্বের অন্যান্য অনেক অংশের থেকে আলাদা। যারা আইন এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার উপর বেশি মনোযোগ দেয়। তিনি বলেন, উন্নত দক্ষতা এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিতে দৃঢ় আস্থা ছাড়া কোনও দেশ উন্নয়নের কথা ভাবতে পারে না। তার মধ্যে টেলিকম, সেমিকন্ডাক্টর, ইলেকট্রনিক্স যানবাহন, বায়োটেকনোলজি, অ্যাডভান্সড ইঞ্জিন এবং কোয়ান্টাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও যোগ করেন, গত কয়েক দশকে এই প্রযুক্তিগুলির তালিকায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স। ইন্টারনেট যেমন আমাদের সবকিছু বদলে দিয়েছে, তেমনই এআই আমাদের কাজের পদ্ধতি, জীবনযাত্রা, কেনাকাটার ধরণ, শিশুদের পড়ানোর পদ্ধতি এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের পদ্ধতিতে মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে আসবে।"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কথায়, “ভারতকে এআই প্রযুক্তি, তার উন্নয়ন এবং ব্যবহারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এআই প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় ১০,০০০ গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিটের (GPU) পরিবর্তে ভারতে এখন সকলের জন্য ৩৮,০০০ জিপিইউ উপলব্ধ রয়েছে।" একাধিক দেশ যখন এআই-এর সুরক্ষাকে মূলত একটি আইনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে, তখন ভারত একটি প্রযুক্তি-আইনি পদ্ধতি অনুসরণ করছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।