সীমান্তে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতেই বন্ধু হিসেবে ভারতের পাশে এল জাপান। এবার থেকে ভারতের কারিগরি দক্ষতা আরও বৃদ্ধি করতে অন্যতম সহযোগী দেশ হিসেবে চুক্তি সম্পন্ন করল এই দেশ। ভারতের সঙ্গে ৫ জি কারিগরি ছাড়াও আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত করল জাপান। এমনকী জটিল তথ্য় পেতেও ভারতকে সাহায্য় করবে দেশ।
বুধবার দুই দেশের মউ স্বাক্ষর নিয়ে বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হয়। যেখানে ভারতের এস জয়শংকরের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী তোসিমিতু মোসেগি। জাপান ইন্দো-স্পেসিফিক অঞ্চলে ভারতের সঙ্গে কারিগরি দক্ষতা ভাগ করতে চেয়েছে। সেই কারণেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সম্প্রতি এই ইন্দো-স্পেসিফিক জলসীমায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে চাইছে চিন। সেই জায়গাতেই চিনের মেরুদন্ড ভাঙতে চাইছে ভারত ও জাপান।
সারা বিশ্বে ডিজিটাল প্রযুক্তির উদ্ভাবনে সাইবার সুরক্ষা এখন একটা বড় সমস্যা। সেই ক্ষেত্রে দুই দেশই নিজেদের তথ্য় সুরক্ষিত রাখতে কাজ করবে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর জানিয়েছেন, এই চুক্তির ফলে ভারতের সঙ্গে জাপানের সম্পর্ক আরও মজবুত হল। সাইবার সুরক্ষা বাড়াতে ইতিমধ্য়েই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে আমেরিকা। চাইনিজ মোবাইল প্রস্তুতকারক কোম্পানি হুয়াবে-কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আমেরিকাতে। এমনকী এই টাইনিজ জায়ান্টকে নিজেদের বন্ধুভাবাসম্পন্ন দেশগুলিকেও নিষিদ্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকা।
আমেরিকার অভিযোগ, মোবাইল ও কারিগরি পরিষেবা দেওয়ার নামে সে দেশে নাগরিকদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিল হুয়াবে। আমেরিকায় পড়তে যাওয়া চিনি ছাত্রদের ওপর চলছে নজরদারি। যা ভালোভাবে নেয়নি আমেরিকা। বিষয়টি প্রকাশ্য়ে আসতেই চিনা কোম্পানিকে এ বিষয়ে ব্যাখ্য়া দিতে বালা হয়েছে।