মাত্র ৬০ দিনেই বাজিমাত, পিপিই তৈরিতে দ্বিতীয় স্থানে ভারত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম দিকে কোনও কারখানা ছিল না 
পিপিই তৈরিতে দ্বিতীয় স্থানে ভারত
মাত্র ৬০ দিনেই বাজিমাত
৬০০ টি কারখানায় তৈরি হচ্ছে পিপিই কিট

Asianet News Bangla | Published : May 25, 2020 10:46 AM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তখনও তেমন দানাবাঁধেনি দেশে। আক্রান্তের সংখ্যাও তেমন বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু সেই সময় রীতিমত হাহাকার দেখা দিয়েছিল পিপিই বা পার্সোলান প্রোটেকটিভ ইকিউপমেন্ট নিয়ে। চরম আকাল ছিল গ্লাভস আর মাক্সের। মাত্র ৬০ দিনেই বদলে গেছে সেই ছবি। কেন্দ্রীয় সরকারের একটি তথ্য বলছে মাত্র ৬০ দিনে পিপিই তৈরির ৫৬ গুণ বেড়েছে এই দেশে। আর সেই কারণে পিপিই তৈরিতে ভারত রীতিমত চিনের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ভারত। বর্তমান বিশ্বে পিপিই কিট তৈরি ও রফতানিতে প্রথম স্থানে রয়েছে চিন। আর করোনা সংক্রমণের পর মাত্র ৬০ দিনের মাথায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। 

গত পয়লা মার্চ। তখনও করোনার সংক্রমণ তেমন ছড়িয়ে পড়েনি। সেই সময় দেশে  পিপিই তৈরির কারখানা ছিল না। পুরোপুরি নির্ভর করতে হত বিদেশ থেকে আমদানির ওপর। কিন্তু তার এক মাস ১৮ দিন পরে অর্থাৎ গত ১৮ই মে ভারতে প্রতিদিন ৪ লক্ষ ৫০ হাজার পিপিই কিট তৈরি হচ্ছে।  গত ৩০ মার্চ থেকেই ভারতে প্রতিদিন ৮ হাজার পিপিই কিট তৈরি হয়েছে। বর্তমান ভারতে প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার পিপিই তৈরি হচ্ছে। 

শুধু পিপিই কিট নয়। বর্তমানে তৈরি হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন-৯৫ মাস্ক, সার্জিক্যাল মাস্ক আর গ্লাভসসহ করোনা মোকিবিলায় একাধিক প্রয়োজনীয় জিনিসও। বর্তমানে প্রায় ৬০০টি কারখানায় পিপিই তৈরি হচ্ছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যেই প্রায় ৯২ লক্ষ মার্কিন ডলারেরও বেশি ব্যবসা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। 


পিপিই কিট ও মাস্ক তৈরিতে এখনও প্রথম স্থানে রয়েছে চিন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারের অধিকাংশটাই তাদের দখলে। কিন্তু আগামী দিনে ভারতের তৈরি পিপিই কিট ও মাস্ক আমদানি করার দিকে ঝোঁক বাড়ছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলির। ভারত এই মুহূর্তে ১৫ লক্ষ ৯৬ হাজার পিপিই তৈরি করতে সক্ষম। কিন্তু বরাত পেলে ২ কোটি ২২ লক্ষের বেশি কিট তৈরি করে বিক্রি করার ক্ষমতা রয়েছে। 

বেঙ্গালুরুতে পিপিই কিট তৈরির হাব থেকে দেশের প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ কিট সরবরাহ করা হয়। বাকি চাহিদার যোগান দেয় কলকাতা, চেন্নাই, লুধিয়ানাসহ বাকি এলাকার কারখানাগুলি। সার্সের সংক্রমণের পর থেকেই পিপিই কিটের চাহিদা বাড়ছিল। সেই সময় সিঙ্গাপুর পিপিই কিট তৈরি করে রেখেছিল যা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় রীতিমত কাজে দিয়েছিল। কিন্তু একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানাচ্ছে করোনা পরবর্তী কালেও  ভারতে তৈরি পিপিই কিটের  চাহিদা বিশ্ব বাজারে থেকে যাবে যা থেকে লাভ কুড়াতে পারবে এই দেশ। 
 

Share this article
click me!