চেনা ৮ শস্যের ১৭টি প্রকরণ - 'ভারতীয় থালি' হবে 'পুষ্টি-থালি', দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার ছিল বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০

রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এক বৈঠকে বক্তৃতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

করোনার সময়েও অপুষ্টিবিরোধী লড়াইয়ে ভারত সামনে সারিতে

অপুষ্টি ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী জানালেন ১৭টি নতুন শস্যের কথা

amartya lahiri | Published : Oct 16, 2020 12:17 PM IST / Updated: Oct 16 2020, 06:00 PM IST

বিভিন্ন খাদ্য উপাদানের পাশাপাশি প্রচলিত শস্যের বিভিন্ন নতুন বৈচিত্রগুলি সাধারণ 'ভারতীয় থালি'কে 'পুষ্টি-থালি'তে পরিণত করবে। শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০-তে রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি ডিজিটাল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমন আশার কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আরও বলেন, রেকর্ড খাদ্যশস্য উৎপাদনের কারণে করোনার এই কঠিন সময়েও ভারত অপুষ্টিবিরোধী লড়াইয়ে সামনে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে পেরেছে।

প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, করোনার কারণে পুরো বিশ্ব যেখানে লড়াই করছে, সেখানে ভারতের কৃষকরা গত বছর রেকর্ড পরিমাণ উত্পাদন করেছেন। শুধু তাই নয়, দেশে এখন পুষ্টি উপাদানকে অধিক পরিমাণে সরবরাহ করে এই জাতীয় ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করা হচ্ছে। স্থানীয় ফসল এবং কৃষকের উৎপাদিত বিভিন্ন শস্য ব্যবহার করে পরিচিত শস্যের বিভিন্ন প্রকরণ তৈরি করা হচ্ছে। চেনা পরিচিত ৮টি শস্যের ১৭টি প্রকরণের কথা তুলে ধরেন তিনি।

জৈব-সুরক্ষিত ফসলের এই বৈচিত্র্যগুলির উৎপাদন আরও বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি। প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ খাদ্য উপাদানের মাধ্যমে ভারতকে অপুষ্টি মুক্ত করতে মিড-ডে মিল, অঙ্গনওয়াড়ির মতো সরকারী কর্মসূচিতে সঙ্গে এই শস্যের নতুন বৈচিত্রগুলি ব্যবহার করা হবে। এতে করে অপুষ্টি মুক্ত ভারত গঠনের পাশাপাশি কৃষকদের উচ্চ আয়ের পথ খুলে যাবে এবং ধীরে ধীরে উদ্যোগপতি হিসাবে আত্মপ্রকাশের নতুন পথ খুলবে।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী এদিন ভারত সরকার কীভাবে বিগত ৮ মাস ধরে প্রায় ৮০ কোটি দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে রেশন সরবরাহ করছে, তা তুলে ধরেন। তবে এচা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলেই দাবি করেছেন তিনি। রাষ্ট্রসংঘে তিনি বলেন, বর্তমানে ভারতে এই জাতীয় সংস্কার অবিরাম হয়ে চলেছে। বিশ্ব খাদ্য সুরক্ষায় ভারত কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারই প্রমাণ এইসব সংস্কার। কৃষিক্ষেত্র ও কৃষকদের ক্ষমতায়ন থেকে শুরু করে ভারতের গণবন্টন ব্যবস্থা (পিডিএস) পদ্ধতির উন্নয়ন করেই চলেছে। করোনাকালে ভারত সরকার দরিদ্রদের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকার খাদ্যশস্য বিতরণ করেছে বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

 

Share this article
click me!