
India On Bangladesh Issues: পদ্মাপারে লাগাতার অশান্তি-উত্তেজনা অব্যাহত। চট্টগ্রামের হিন্দু যুবক দীপু দাস খুন। ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য ওসমান হাদির মৃত্যুর পর পরিস্থিতি আরও জটিল। ওপার অশান্ত হতেই এপারেও ছড়িয়েছে তার আঁচ। বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হয়েছে হোটেলের দরজা। পদ্মাপারে হিন্দু নিধনে বন্ধ দুই দেশের ভিসা পরিষেবা সহ কনসুলারের যাবতীয় কাজ। এরই মধ্যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় ভারত কেন এখনও চুপ? কিছু বলছে না।
গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার এই প্রশ্নের পর অবশেষে বাংলাদেশ ইস্যুতে নীরবতা ভাঙল ভারত। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করল সেদেশে হওয়া হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে। শুক্রবার এই বিষয়ে বিবৃতি জারি করল ভারত সরকারের বিদেশ মন্ত্রক। দীপু হত্যার ন্যায় বিচারের দাবি জানানোর পাশাপাশি দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
তিনি বলেন, ''আমরা এ ব্যাপারে আগেই বিবৃতি দিয়েছি। বাংলাদেশ যে বিকৃত ভাষ্য ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তা-ও খারিজ করা হয়েছে।'' তবে এই প্রথম নয়। ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাপে পড়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তেই একাধিকবার নিজেদের মধ্যে অশান্তিতে জড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে সেভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতেও দেখা যায়নি। শুধুমাত্র শান্তিরক্ষার বার্তা দিয়েই এতদিন দায় ঝেড়ে ফেলেছেন ইউনূস। তবে এবার যে বিষয়টি অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে তা বোঝাতে কড়া বার্তা নরেন্দ্র মোদী সরকারের। বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর যে ভারতের সম্পূর্ণ নজর রয়েছে সেকথাও জানাতে ভোলেননি রণধীর জয়সওয়াল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।