
Two Bullet Trains: ভারতের প্রথম হাই-স্পিড রেল করিডোর মুম্বাই-আহমেদাবাদ রেলপথে পরীক্ষা চালানোর জন্য জাপান ভারতকে ২টি বুলেট ট্রেন উপহার হিসেবে দেবে। ২০২৬ সালের শেষের দিকে এই ট্রেনগুলি ভারতে আসবে। শিনকানসেন ট্রেন (বুলেট ট্রেন) ই৫ এবং ই৩ মডেলের হবে। আগামী বছরের মধ্যে করিডোরের প্রথম পর্যায় (সুরাট-বিলমোরা রুট) ৪৮ কি.মি. সম্পন্ন হবে, সেখানেই এই ট্রেনগুলি চালিয়ে পরীক্ষা করা হবে। এই সময়ে বুলেট ট্রেন প্রযুক্তি সম্পর্কে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি জাপানের সহযোগিতায় তৈরি। এটি ভারত-জাপান বন্ধুত্বের প্রতীক বলে জাপান টাইমস জানিয়েছে। মুম্বাই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন রুটের বেশিরভাগ কাজ ৭৫% সম্পন্ন হয়েছে, মুম্বাই অঞ্চলে টানেলের কাজ দেরিতে হচ্ছে। এটি আরও ৫ বছর সময় নিতে পারে। ২০৩০ সালের মধ্যে এটি চালু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পরোক্ষভাবে জড়িত: চিনের কারসাজি ফাঁস করল ইউক্রেন
বেইজিং: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করছে বলে দাবি করে চিন। কিন্তু ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গোপনে তার নাগরিকদের যুদ্ধে পাঠিয়ে রাশিয়াকে সমর্থন করছে চিন, এই তথ্য ফাঁস করেছে ইউক্রেন। চিনের এই কারসাজি ফাঁস করার জন্য ইউক্রেন রেডক্রসের মানবাধিকার আইনও লঙ্ঘন করেছে। রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধরত চিনা নাগরিকদের সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের এই পদক্ষেপে চিন বিব্রত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করছে বলে দাবি করলেও, বেইজিং শুরু থেকেই রাশিয়াকে অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এছাড়াও, চিনা নাগরিকরাও রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করছে বলে ইউক্রেনের নজরে এসেছে। চিনের এই পদক্ষেপ ইউক্রেন সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল। এখন রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কির সম্মতিতে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ইউক্রেনে বন্দী চিনা নাগরিকদের শনাক্ত করে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করেছে। যুদ্ধবন্দীদের সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করা এবং তাদের পরিচয় প্রকাশ করা রেডক্রসের আন্তর্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন। তবে এই যুদ্ধে চিনের হাত রয়েছে তা প্রমাণ করার জন্য ইউক্রেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনকে সমর্থন করতে অস্বীকার করার পর ইউক্রেনের সামনে সব বিকল্পই কমে গেছে। ট্রাম্পের সমর্থন কমে যাওয়ার সাথে সাথে চিনের সহায়তায় রাশিয়া তার আক্রমণ তীব্রতর করেছে। তবে তার নাগরিকরা এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি বলে চিন ইউক্রেনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এ কারণে ইউক্রেন আন্তর্জাতিক স্তরে চিনের আসল রূপ ফাঁস করেছে।