পঁয়তাল্লিশ বছরের মধ্য়ে বেকারির বার সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল গত বছরেই। তারপরও অর্থনীতির চাকা ঘোরেনি। এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বেকারির হার পৌঁছেছে ৭.৮ শতাংশ। যা গত অক্টোবর থেকে সর্বোচ্চ। জানুয়ারিতে দেশে বেকারির হার ছিল ৭.১৬।
সম্প্রতি সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির এক সমীক্ষায় এমনটাই ধরা পড়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরের ছ-বছরের বৃদ্ধির হার সবচেয়ে কম। ঝিমিয়ে পড়েছে শিল্পবৃদ্ধির হার। বাজারে চাহিদা নেই বললেই চলে। আর চাহিদা নেই বলে নতুন করে বিনিয়োগও নেই। ব্য়াঙ্কের সুদের হার কমলেও সেখান থেকে ধার করে বিনিয়োগ করতে রাজি নয় ব্য়বসায়ী-শিল্পপতিরা।
বছরে দুকোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, নতুন চাকরি তো দূরস্থান, পুরনো চাকরিই হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। গতবছর গাড়ি শিল্পে মন্দার কারণে বহু কর্মী ছাঁটাই হয়েছেন। জামশেদপুর-আদিত্য়পুরের কারখানাগুলোতে কিছুদিন অন্তর-অন্তর কাজ বন্ধ থেকেছে। ফলে শুধু স্থায়ী কর্মীরাই নন, কর্মহীনতায় ভুগেছেন অস্থায়ী কর্মীরাও।
এমতাবস্থায় গত বছর বাজেটের কিছুদিন পর, কার্যত মিনিবাজেট করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কর্পোরেট করে ব্য়াপক ছাড় দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও বাড়েনি বিনিয়োগ। ঘোরেনি অর্থনীতির চাকা। রিয়েলএস্টেটকে চাঙ্গা করতেও একগুচ্ছ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ সেভাবে কিছুই হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক অর্থ সংস্থাগুলো বারেবারেই ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছাঁটাই করে চলেছে। বিরোধীরা বলছেন, অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিয়েছ। যদিও সরকারপক্ষ একে মন্দা বলতে রাজি নয়। তাদের বক্তব্য়, এটি সাময়িক ঝিমুনি মাত্র। কিছুদিন পরেই আবার ঘুরবে অর্থনীতির চাকা।