
Mail Exchange Suspension:বন্দর , বাণিজ্যের পর এবার এবার পাকিস্তানের মেইল আর পার্সেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ভারত। সবমিলিয়ে পাকিস্তানকে এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়তে নারাজ মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় যোগাযোগ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, শনিবার ভারত বিমান ও স্থলপথে পাকিস্তান থেকে আগত সকল ধরনের মেইল এবং পার্সেল বিনিময় স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যোগাযোগ মন্ত্রকের ডাক বিভাগের এই বিবৃতিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্যও একটি পোস্ট করে এই সিদ্ধন্তের কথা জনিয়েছেন।
এর আগে পাকিস্তানি আমদানির উপর কেন্দ্রীয় সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পাকিস্তান থেকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আমদানি এবং ট্রানজিট সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে ভারত। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (GTRI) এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব এক বিবৃতিতে বলেছেন, কেন্দ্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার পর, পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি বর্তমানের প্রায় পাঁচ লক্ষ মার্কিন ডলার থেকে শূন্যে নেমে আসবে।
পাহলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন পর্যটকের প্রাণহানির পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। "পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানির পরিমাণ খুবই কম - বছরে মাত্র ০.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার । এখন শূন্যে নেমে আসবে। হিমালয়ের গোলাপি লবণ (সেন্ধা নমক) ছাড়া, যা পাকিস্তানের লবণের খনি থেকে আহরণ করা হয়, ভারতে কারোরই কিছু মিস করার নেই," GTRI-এর প্রতিষ্ঠাতা অজয় শ্রীবাস্তব ANI-কে বলেছেন। শ্রীবাস্তব বলেছেন, পাকিস্তান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপটি বেশিরভাগই প্রতীকী, কারণ ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তনি পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল। পুলওয়ামা হামলার পর ভারী শুল্কের কারণে ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে আমদানি প্রায় ০.৪২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছিল।
পাহলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর, কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে, যেমন আটারিতে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (ICP) বন্ধ করা, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য SAARC ভিসা ছাড়ের স্কিম (SVES) স্থগিত করা, তাদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য ৪০ ঘন্টা সময় দেওয়া এবং উভয় দেশের হাইকমিশনে কর্মকর্তাদের সংখ্যা কমানো। পাহলগাঁও হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জল চুক্তিও স্থগিত করেছে।