
Indian Air Force: বায়ুসেনার শক্তির দিক থেকে চিনকে পেছনে ফেলেছে ভারত। ওয়ার্ল্ড ডিরেক্টরি অফ মডার্ন মিলিটারি এয়ারক্রাফ্ট (WDMMA)-এর নতুন রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় বায়ুসেনা এখন আমেরিকা ও রাশিয়ার পর বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে শক্তিশালী বায়ুসেনা হয়ে উঠেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের কাছে ভারতের চেয়ে বেশি যুদ্ধবিমান থাকলেও, ভারতীয় বায়ুসেনা প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ এবং মিশন সম্পন্ন করার ক্ষমতায় চিন থেকে এগিয়ে। এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি। ইতিমধ্যেই অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় বায়ুসেনা তার শক্তি প্রদর্শনও করেছে।
WDMMA প্রতি বছর বিশ্বের সমস্ত বায়ুসেনার শক্তি মূল্যায়ন করে। এই র্যাঙ্কিং শুধুমাত্র বিমানের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে নয়, বরং যুদ্ধ করার ক্ষমতা, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, লজিস্টিক সাপোর্ট, পাইলটদের প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত আধুনিকতার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়।
আমেরিকা – 242.9
রাশিয়া – 114.2
ভারত – 69.4
চিন – 63.8
জাপান – 58.1
ভারতের তিন বাহিনী—স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনার মধ্যে খুব ভালো সমন্বয় রয়েছে। রাশিয়ার কাছে অনেক বিমান থাকলেও, তারা এখনও ইউক্রেনের উপর নিজেদের দখল জারি করতে পারেনি। অন্যদিকে, ইজরায়েল ২০২৫ সালে মাত্র চার দিনেই ইরানের আকাশ দখল করে নিয়েছিল, কারণ তাদের পরিকল্পনা ও প্রযুক্তি খুব ভালো ছিল। ইতিমধ্যেই অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতের প্রস্তুতি ও শক্তি স্পষ্ট দেখা গেছে। এই অভিযানে ভারতীয় বায়ুসেনা পাকিস্তানকে নিজেদের শক্তি ও ক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছে। সেনার DGMO লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাইয়ের মতে, অপারেশন সিঁদুরের সময় LOC-তে পাকিস্তানের ১০০ জনেরও বেশি সেনা নিহত হয় এবং কমপক্ষে ১২টি পাকিস্তানি বিমান ধ্বংস হয়ে যায়।
চিন তার বায়ুসেনাকে আধুনিক করতে এবং নতুন প্রযুক্তি আনতে বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। অন্যদিকে, ভারত শুধু যন্ত্রপাতির উপর নয়, বরং পাইলটদের প্রশিক্ষণ এবং যুদ্ধের প্রস্তুতির উপরও নজর দেয়। ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি তার প্রশিক্ষণ, দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর ক্ষমতা এবং সঠিক আক্রমণ করার ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে।