
ভারত-শ্রীলঙ্কা যৌথ সামরিক মহড়া, "অনুশীলন মিত্র শক্তি-২০২৫"-এর একাদশ সংস্করণের পঞ্চম দিনটি শুরু হয়েছ। প্রথমেই জোর দেওয়া হয়েছে ফিটনেসের ওপর। ফিটনেস প্রশিক্ষণের মাধ্যে দিয়েই প্রথম মহড়া শুরু হয়েছে। সেনা কর্তাদের কথায় এর ফলে শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানো এবং দুই দেশের সেনাদলের মধ্যে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হবে। এই অনুশীলনটি ১০ থেকে ২৩ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত চলবে।
উচ্চ-তীব্রতার ফিটনেস প্রশিক্ষণের পর রোড ওপেনিং পার্টি (ROP) পদ্ধতি নিয়ে একটি বক্তৃতা এবং প্রদর্শনী হয়, এবং তারপরে ক্যাজুয়ালটি ইভাকুয়েশন এবং কমব্যাট মেডিকেল স্কিলস-এর উপর একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অপারেশনের সময় আহতদের সামলানোর জন্য বিভিন্ন স্প্লিন্ট এবং পদ্ধতি দেখানো হয়।
এরপর শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেশন পরিচালনা করেন: অপারেশন ইন্দ্রা সেরা-র উপর একটি বিস্তারিত কেস স্টাডি, এবং তারপরে স্মল টিম কনসেপ্ট-এর উপর একটি বক্তৃতা, সাথে আইইডি সনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ।
উভয় দেশের সৈন্যরা ড্রোন অপারেশন অনুশীলনও করে, যেখানে তাদের লাইভ ড্রোন ওড়ানো এবং অপারেশনে ড্রোনের ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সন্ধ্যায়, সৈন্যরা হিলবোর্ন ইনসার্শন ড্রিলের অংশ হিসেবে স্লিদারিং অনুশীলন করে।
ভারতীয় দলে ১৭০ জন সদস্য রয়েছে, যাদের প্রতিনিধিত্ব করছে মূলত রাজপুত রেজিমেন্টের সৈন্যরা। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ১৩৫ জন সদস্য রয়েছে, যাদের প্রতিনিধিত্ব করছে মূলত গজবা রেজিমেন্টের সৈন্যরা। ভারতীয় বিমান বাহিনীর ২০ জন এবং শ্রীলঙ্কান বিমান বাহিনীর ১০ জন সদস্যও এই অনুশীলনে অংশ নিচ্ছেন।
এই অনুশীলনের লক্ষ্য হল রাষ্ট্রসংঘের ম্যান্ডেটের সপ্তম অধ্যায়ের অধীনে সাব-কনভেনশনাল অপারেশনের যৌথ মহড়া করা। এই অনুশীলনের পরিধির মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় যৌথ প্রতিক্রিয়া সমন্বয় করাও অন্তর্ভুক্ত। উভয় পক্ষ রেইড, সার্চ অ্যান্ড ডেস্ট্রয় মিশন, হিলবোর্ন অপারেশন ইত্যাদির মতো কৌশলগত কার্যকলাপ অনুশীলন করবে। এছাড়াও, আর্মি মার্শাল আর্টস রুটিন (AMAR), কমব্যাট রিফ্লেক্স শুটিং এবং যোগাও এই অনুশীলনের পাঠ্যক্রমের অংশ।