
জম্মু ও কাশ্মীরের কোকেরনাগের কিশতোয়ার রেঞ্জে চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে নিহত ২ সেনা ল্যান্স হাবিলদার পলাশ ঘোষ এবং ল্যান্স নায়েক সুজয় ঘোষকে শ্রদ্ধা জানাল ভারতীয় সেনার চিনার কর্পস। দুজনেই বাঙালি। তাদের বাংলার দুই শহিদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৮ বছরের পলাশ ঘোষের বাড়ি মুর্শিদাবাদে। আর ২৮ বছরের সুজয় ঘোষ ছিলেন বীরভূমের বাসিন্দা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবা ও আত্মীয়স্বজনদের আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। শোকের সময় আমাদের সরকার দুই পরিবারকে সম্ভাব্য সাহায্য় করবে। '
শুক্রবার চিনার কর্পস এক্স-এ পোস্ট করে জানায়, "কোকেরনাগের কিশতোয়ার রেঞ্জে চরম প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে নিরলস সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালানোর সময় বীর ল্যান্স হাবিলদার পলাশ ঘোষ এবং ল্যান্স নায়েক সুজয় ঘোষের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে সম্মান জানাচ্ছে চিনার কর্পস।"
তাঁদের সাহসিকতাকে সম্মান জানিয়ে সেনা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে।
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, "তাঁদের সাহস ও উৎসর্গ আমাদের চিরকাল অনুপ্রাণিত করবে। চিনার যোদ্ধারা এই বীরদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে স্যালুট জানায়। আমরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে আছি এবং তাঁদের মঙ্গলের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"
এর আগে, বৃহস্পতিবার সেনা জানিয়েছিল, ৬ অক্টোবরের মধ্যবর্তী রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহাড়ে কিশতোয়ার রেঞ্জে একটি অপারেশনাল দল তুষারঝড় এবং হোয়াইটআউট পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে ল্যান্স হাবিলদার পলাশ ঘোষ এবং ল্যান্স নায়েক সুজয় ঘোষ নিখোঁজ হন। চিনার কর্পস এক্স-এ আগের একটি পোস্টে বলেছিল, "৬/৭ অক্টোবরের মধ্যবর্তী রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের পাহাড়ে কিশতোয়ার রেঞ্জে একটি অপারেশনাল দল তুষারঝড় এবং হোয়াইটআউট পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল।" সেনা জানিয়েছে, ব্যাপক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হলেও "প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তা ব্যাহত হয়"। পরে উদ্ধার হয় দেহ। আজ দুজনেরই দেহ তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হতে পারে।
এদিকে, ৯ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিরাপত্তা বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় থাকতে এবং সন্ত্রাসীরা যাতে জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশের জন্য তুষারপাত ও প্রতিকূল আবহাওয়ার সুযোগ না নিতে পারে, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য জাতীয় রাজধানীতে শাহের সভাপতিত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।