'আমি এখনও বেঁচে আছি', স্ত্রীকে ফোন করে বললেন গালওয়ান উপত্যকার 'শহিদ' জওয়ান

Published : Jun 17, 2020, 08:58 PM ISTUpdated : Jun 17, 2020, 09:02 PM IST
'আমি এখনও বেঁচে আছি', স্ত্রীকে ফোন করে বললেন গালওয়ান উপত্যকার 'শহিদ' জওয়ান

সংক্ষিপ্ত

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে ফোন করে সেনা জানিয়েছিল তিনি আর বেঁচে নেই পরিবারে নেমে এসেছিল বিষাদের অন্ধকার বুধবার সেই 'শহিদ' জওয়ান নিজেই ফোন করলেন তাঁর স্ত্রীকে কিন্তু কী করে

মঙ্গলবার বিহারের সরণ জেলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য সুনীল রাইয়ের বাড়িতে নেমে এসেছিল বিষাদের অন্ধকার। পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিন সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সুনীল শহিদ হয়েছেন বলে তার পরিবারকে জানানো হয়েছিল ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে। কিন্তু, একদিন পরই সেই বিষাদ বদলে গেল হরষে। বুধবার, 'শহিদ' সুনীল রাইয়ের ফোন এল তাঁর স্ত্রী মেনকা রাইয়ের কাছে। ফোনের ওইপাড় থেকে সুনীল বললেন, 'আমি এখনও বেঁচে আছি'।

আর ওই একটা কথাতেই পাল্টে গেল পুরো বাড়ির পরিবেশ। কিন্তু, সুনীল রাই বেঁচে থাকলে, ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারকে ওই দুঃসংবাদ দেওয়া হল কেন? আসলে ই ক্ষেত্রে ঘটেছে এক বিরল নাম বিভ্রাট। জানা গিয়েছে, বিহার থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত দুইজন সুনীল রাই ছিলেন। অদ্ভূতভাবে তাঁদের দুইজনেরই বাবার নাম সুখদেও রাই। তবে শহিদ সুনীল নিযুক্ত ছিলেন লাদাখ সীমান্তে, আর সরন জেলার সুনীল রাই নিযুক্ত আছেন লেহ উপত্যকায়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় এই নাম বিভ্রাটের কারণে সরন জেলার সুনীলের বাড়িতেই ফোন করে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল চিন সেনার সঙ্গে হাতাহাতিতে তিনি শহিদ হয়েছেন। সরন জেলা প্রশাসন থেকেও জানানো হয়েচিল, তাঁদের কাছে একই খবর এসেছে। তবে তাঁরা জানিয়েছিলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে নিশ্চিতভাবে তাদের কিছু না জানালে তারা সরকারিভাবে এই সংবাদ ঘোষণা করবেন না।

শেষ অবধি অবশ্য সেনার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনে সেই খবর আর আসেনি। বদলে সুনীল রাই নিজেই ফোন করেন তাঁর স্ত্রীকে। সুনীলের স্ত্রী মেনকা, তাঁর সঙ্গে কথা ববলার পর জানিয়েছেন, 'আমার সঙ্গে আমার স্বামীর কথা হয়েছে। ভগবানের আশীর্বাদে আমি যেন দ্বিতীয় জীবন পেলাম'।

বুধবার একদিকে যেমন সরন জেলার সুনীল রাইয়ের বাড়িতে ফিরেছে খুশির মেজাজ, অন্যদিকে বিহতা জেলার সুনীল রাইয়ের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। এদিন এক বিশেষ বিমানে বিহার রেডিমেন্টের শহিদ কর্নেল সন্তোষ বাবু, সমস্তিপুরের আমন সিং, সহর্ষের কুন্দন কুমার-এর সঙ্গে সুনীল রাই-এর দেহও এসে পৌঁছায় বিহারে। তাঁদের পরিবার ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে তাদের সকলেরই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে।       

*সঙ্গে ব্যবহৃত ছবি প্রতিনিধিত্বমূলক

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে সরকার জানাল সাফ কথা! ২.৮৬ হারে বৃদ্ধি পেতে পারে বেতন?
যোগী সরকারের উত্তরপ্রদেশ ডিজিটাল পাওয়ারহাউস: স্টার্টআপ, আইটিতে রেকর্ড বৃদ্ধি