
Train journey at night: রাতে ট্রেনে যাত্রা করার সময় যখন যাত্রীরা ঘুমিয়ে থাকেন, তখন দু'টি মানুষ জেগে বসে থাকেন যাত্রীদের সুরক্ষায়। ট্রেনের সামনে চালকের কেবিনে সতর্ক অপলক দৃষ্টিতে জেগে থাকেন ট্রেনের দু'জন চালক। ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ থাকে তাঁদের হাতে। তাঁরা হলেন লোকো পাইলট (Loco Pilot) ও সহকারী লোকো পাইলট (Assistant Loco Pilot)। তাঁদের কাজ শুধু ট্রেন চালানো নয়, বরং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং প্রতিটি মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল শনাক্ত করে সেই অনুযায়ী ট্রেনের গতি ও দিক নির্ধারণ করা। একইসঙ্গে রাতভর তাঁরা নিয়মিত তথ্য আদান প্রদানের কাজে ব্যস্ত থাকেন।
লোকো পাইলটদের রাতভর কাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সিগন্যাল রিডিং ও পুনরাবৃত্তি। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনও সিগন্যাল দেখায় 'সবুজ', লোকো পাইলট স্পষ্টভাবে বলবেন, ‘সিগন্যাল ১০৫০, সবুজ’ আর সহকারী লোকো পাইলটও সঙ্গে সঙ্গে বলবেন, ‘সিগন্যাল ১০৫০, সবুজ’। এই প্রোটোকলটি চালকের সতর্কতা বজায় রাখে এবং ভুলের সম্ভাবনা কমিয়ে আনতে ডুয়াল কনফার্মেশন সিস্টেম। এছাড়াও, প্রতিটি যাত্রা শুরুর আগে লোকো পাইলটকে একটি বিস্তারিত রোড ম্যাপ বা রুট চার্ট দেওয়া হয়। যাতে কোথায় ট্রেন থামবে, কোথায় গতি বাড়াতে বা কমাতে হবে, কোথায় সিগন্যাল বা ক্রসিং রয়েছে, জরুরি অবস্থা বা অস্থায়ী ট্র্যাক সতর্কতা, এই সব কিছু রুট ম্যাপে বিস্তারিতভাবে দেওয়া থাকে। ফলে প্রতিটি সেকশনে লোকো পাইলটকে মনোযোগ সহকারে প্রস্তুত থাকতে হয়।
ভারতে প্রতিদিন লোকাল ট্রেন ও দূরপাল্লার ট্রেন মিলিয়ে কয়েক কোটি মানুষ যাতায়াত করেন। ফলে এত মানুষের সুরক্ষার ভার ট্রেনের চালকদের উপর থাকে। আরও অনেক রেলকর্মীই ট্রেনের নিরাপদ যাত্রার বিষয়ে কাজ চালিয়ে যান। তবে আসল কাজ করতে হয় লোকো পাইলট ও তাঁর সহকারীকেই। ফলে তাঁদের উপরেই মূল দায়িত্ব থাকে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।