
ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিল: ১৩ মে ২০২৫ তারিখে, ইন্ডিগো এয়ারলাইন্স একটি অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত নিয়ে অমৃতসর, জম্মু, শ্রীনগর, চণ্ডীগড়, লেহ এবং রাজকোটের সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা তুঙ্গে। এয়ারলাইন্সটি যাত্রীদের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
সোমবার রাত প্রায় ১১:৩৮ মিনিটে, ইন্ডিগো তাদের অফিসিয়াল এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট প্রকাশ করে লিখেছে: “সাম্প্রতিক ঘটনাবলী বিবেচনা করে এবং আপনার সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে, ১৩ মে এই শহরগুলিতে ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে। আমাদের দলগুলি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।”
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে দিল্লি থেকে অমৃতসরগামী ফ্লাইট ৬ই২০৪৫ এর ক্ষেত্রে, যা মাঝপথ থেকেই ফিরে এসেছে। সূত্র মতে, অমৃতসরে সতর্কতামূলক ব্ল্যাকআউট ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই পাইলটকে ফ্লাইটটি দিল্লিতে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়। Flightradar24.com এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিমানটি কিছুক্ষণ আকাশে চক্কর কাটার পর দিল্লি বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
যে বিমানবন্দরগুলির জন্য ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, সেগুলি সবই এমন এলাকা যেগুলি কিছুদিন আগেই সামরিক সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সোমবারই এগুলি আবার খোলা হয়েছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে আবারও সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফ্লাইট বাতিল এবং আকাশসীমায় ব্ল্যাকআউটের মতো পদক্ষেপ কোনও সাধারণ সতর্কতা নয়, বরং সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত হতে পারে। যদিও সরকার বা এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইন্ডিগো যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার আগে তাদের ফ্লাইটের স্থিতি পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে। এয়ারলাইন্সের দল যাত্রীদের নিয়মিত আপডেট দেওয়ার দাবি করছে এবং যাত্রীদের পুরো টাকা ফেরত বা পুনরায় বুকিংয়ের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। ইন্ডিগোর এই ফ্লাইট বাতিল শুধুমাত্র কারিগরি সমস্যা নয়, বরং একটি সুরক্ষা সঙ্কটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।