'জুম' থেকে 'টিকটক' ৫২টি চিনা অ্যাপে লুকিয়ে বিপদ, দাবি ভারতীয় গোয়েন্দাদের

জুম থেকে টিকটকে লুকিয়ে রয়েছে বিপদ
৫২টি অ্যাপ কালোতালিকাভুক্ত
পারাচ হতে পারে গোপন তথ্য
ব্যবহার না করার আর্জির প্রস্তাব গোয়েন্দা সংস্থার 

Asianet News Bangla | Published : Jun 17, 2020 11:54 AM IST

৫২ টি কালো তালিকাভুক্ত মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের নাম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জমা দিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আর সেই  মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করে দেওয়ার আর্জি জানান হয়েছে। তবে অবিলম্বে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনগুলি দেশের নাগরিকরা যাতে ব্যবহার করা বন্ধ করে দেন তারজন্যও আবেদন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মনে করছে ওই ৫২টি মোবাইল অ্যাপে লুকিয়ে রয়েছে বিপদ। অ্যাপের মাধ্যমেই পাচার হয়ে যেতে পারে দেশের গোপন তথ্য। নাগরিকদের ব্যক্তিগত পরিসরে থাকা তথ্যও পাচার হয়ে যেতে পারে বলে গোয়ান্দা সংস্থার পক্ষ থেকে আশঙ্কা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ৫২ টি মোবাইল অ্যাপই কোনও না কোনও ভাবে জড়িয়ে রয়েছে চিনের সঙ্গে। 

নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক এক সরকারি কর্তা জানিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থা এই দাবিকে সমর্থন করেছে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েট। যেসব মোবাইল অ্য়াপ্লিকেশনগুলির ওপর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেগুলির মধ্যে নাম রয়েছে, টিকটক, জুম, শেয়ারইট, জেন্ডার, এইসিব্রাউজারের মত জনপ্রিয় অ্যাপের। এগুলি প্রত্যেকটি চিনা ইন্টারনেট সংস্থা বাইটডান্সের মালিকানাধীন বা পরিচালিত। 

কেন্দ্রীয় সরকারে এক কর্মকর্তার কথায়, গোয়েন্দা সংস্থার দেওয়া তালিকায় অনেকগুলি অ্যান্ড্রয়েয়েড বা আইএএস অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে যা চিনা সংস্থার তৈরি। ওই অ্য়াপগুলির লিঙ্ক ব্যবহার করে স্পাইওয়্যার বা আপত্তিকর কাজে প্রতিপক্ষ ব্যবহার করতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে। তাই নিজের ও দেশের ক্ষতি এড়াতে তালিকাভুক্ত ৫২টি চিনা অ্যাপ ব্যবহার না করার আবেদন জানান হয়েছে। 


দেশের সুরক্ষার জন্য নিরাপত্তা সংস্থার চিনা সম্পর্কযুক্ত হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারগুলি নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিরোধের সময় চিন পাচার হওয়া তথ্য ভারতের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে পারে বলে আশঙ্কা করেছে গোয়েন্দা সংস্থা। মোবাইল অ্যাপের ক্ষতির বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। 

চলতি বছর এপ্রিলেই সরকারি কাজে জুম অ্য়াপ ব্যবহার না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র ভারতই একমাত্র দেশ নয়, জুমের বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। তাইওয়ানেও জুম ব্যবহারে বিধিনিষেধ রয়েছে। জার্মান বিদেশ মন্ত্রীও জুমের ব্যবহার কম করেছেন। আবার মার্কিন সেনেটের সদস্যদেরও অন্য কোনও অ্যাপ ব্যবহার করার আবেদন জানান হয়েছে। 
 

Share this article
click me!