স্ত্রীর গোপনাঙ্গেও আঘাত করতে ছাড়লেন না সরকারি আমলা, কারণ 'বাজারে তাঁর দাম নাকি ১ কোটি'

প্রান্তিক ভারত নয়, কেউ অশিক্ষিতও নয়

একজন উচ্চশিক্ষিত রাজস্ব বিভাগের কর্তা

তার বিরুদ্ধেই স্ত্রী আনলেন জঘন্য অভিযোগ

কেন স্ত্রীর গোপনাঙ্গে আঘাত করলেন ওই সরকারি আমলা

'বাজারে একজন আইআরএস বরের দাম ১ কোটি'! আইআরএস অর্থাৎ ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস বা ভারতীয় রাজস্ব বিভাগের এক পদস্থ কর্তার বিরুদ্ধেই পণের দাবি করার মতো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ উঠল। শুধু দাবি নয়, তার বিরুদ্ধে পণ না দেওয়ায় গোপনাঙ্গে আঘাত করার অভিযোগও এনেছেন তার স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের আহমেদাবাদে। আহমেদাবাদ মহিলা পুলিশের কাছে ওই আইআরএস অফিসারের স্ত্রী এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সেই অভিযোগ অনুযায়ী ওই অফিসার ও তার স্ত্রী দুজনেই বিহারের বাসিন্দা। ওই মহিলা একজন রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মী। ২০১৩ সালের মে মাসে সম্বন্ধ করে এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল। অভিযোগ, বিয়ের ঠিক আগেই ওই সরকারি অফিসারের পরিবারের পক্ষ থেকে যৌতুক হিসাবে এক কোটি নগদ, একটি ইনোভা গাড়ি এবং প্রচুর সোনার গয়না দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু, ভারতীয় দণ্ড বিধি অনুযায়ী পণ চাওয়ার মতো পণ দেওয়াও অপরাধ। ওই মহিলার বাবা-মা তা দিতে রাজি হননি।

Latest Videos

তারপর তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই যৌতূকের জন্য শ্বশুরবাড়িতে ওই মহিলার হয়রানি শুরু হয়। তিনি জানিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা বলতেন 'বাজারে আইআরএস বরের দাম এক কোটি টাকা'। তাঁকে 'ভিখারীর মেয়ে' বলে কটাক্ষ করা হত। হুমকি দেওয়া হত বাপের বাড়িতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার। এইসব ঝামেলার মধ্যেই তাদের এক পুত্র সন্তান জন্মেছিল। তার বয়স এখন পাঁচ বছর। কিন্তু সন্তানের জন্মের পরও পণের দাবি যায়নি।

২০১৫ সালে, আইআরএস অফিসার আহমেদাবাদে বদলি হয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রীও ওই শহরেই পোস্টিং পান। আহমেদাবাদের শীলাজ পাড়ার একটি অভিজাত এলাকায় বাড়ি নেন তাঁরা। কিন্তু, শহর বদলেও তার ভাগ্য বদলায়নি। স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়িদের হাতে নিয়মিত হয়রানি ছিল বাধা। ২০১৬ সালে একবার তাঁকে বাড়ি থেকে বেরও করে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশের মধ্যস্থতায় সেইবার মিটমাট হয়েছিল। পরে, তাঁরা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও করেছিলেন, পরে অবশ্য তুলে নেন।

বিষয়টি অন্য মাত্রা নেয় ২০২০ সাালে এসে। স্ত্রীর গায়ে হাত তোলা শুরু করেন রাজস্য বিভাগের ওই পদস্থ কর্তা। নির্যাতিতার অভিযোগ গত এপ্রিল মাসে মারতে মারতে তাঁর গোপনাঙ্গেও আঘাত করেছিল তাঁর স্বামী। দাবি ছিল একটাই পরিবারের যৌতীকের দাবি পূরণ করতে হবে। এরপরই তিনি ফের পুলিশের দ্বারস্থ হন। যৌতুক নিষিদ্ধ আইন-এর আওতায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে, শিক্ষার আলো যেখানে সেভাবে পৌঁছায়নি, সেইসব এলাকায় এখনও পণপ্রথা ভালোমতো চালু রয়েছে। আইন করেও তা বন্ধ করা যায়নি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে একজন উচ্চ শিক্ষিত কেন্দ্রীয় সরকারি পদস্থ কর্তা ও তার পরিবার যেভাবে যৌতুকের দাবিতে উন্মত্ত হয়ে উঠেছেন, স্ত্রীর গায়ে হাত তোলার মতো বর্বরোচিত আচরণ করছেন, তা অনেককেই বিস্মিত করেছে।

Share this article
click me!

Latest Videos

'মমতা পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি রোহিঙ্গা ঢুকিয়েছে', বিস্ফোরক মন্তব্য Suvendu Adhikari-র
মমতা হারবে, DA ন্যায্য অধিকার, জয় আপনাদের দোরগোড়ায়, ঐক্যবদ্ধ থাকুন : শুভেন্দু | Suvendu Adhikari
Suvendu Adhikari Live : নবান্নের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ধর্না অবস্থান মঞ্চে শুভেন্দু
কেউ পেয়েছে ২০০, কেউ ৫০! মালদায় গাছ থেকে টাকার বৃষ্টি! ব্যাপারটা কি | Malda News Today
'এই CBI মানুষের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে' CBI-র গেটে প্রতীকী তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ ডাক্তারদের | RG Kar