তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি), তালেবান এবং আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) এর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা আফগানিস্তানে যোদ্ধা ও প্রশিক্ষণ শিবির ভাগাভাগি করছে এবং তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তানের ব্যানারে আরও প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে।
জঙ্গি গোষ্ঠী 'ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট-খোরাসান' (আইএসআইএল-কে) সম্পর্কে একটি গোপন তথ্য সামনে এসেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে ভারতে বড় আকারের হামলা চালাতে না পারলেও, আইএসআইএল-কে দেশে অবস্থিত তার হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে এমন যোদ্ধাদের নিয়োগ করতে চায় যারা একাই হামলা চালাতে পারে।
আইএসআইএল সম্পর্কিত বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে
আইএসআইএল, আল-কায়েদা এবং এর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থাগুলির উপর বিশ্লেষণাত্মক পর্যবেক্ষণ দলের ৩৪ তম প্রতিবেদন মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সদস্য দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে আফগানিস্তান থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাসবাদ এই অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতার কারণ হবে।
রিপোর্টে কি আছে?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ভারতে বড় আকারের হামলা চালাতে না পারলেও, আইএসআইএল-কে, দেশে তাদের হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে, এমন লোকদের নিয়োগ করতে চায় যারা একা হামলা চালাতে পারে এবং হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে বিভেদ বাড়াতে উর্দুতে স্লোগান ব্যবহার করতে পারে। আইএসআইএল-কে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হিসেবে এই উপমহাদেশে বিবেচিত হয়। এরা আফগানিস্তানের বাইরেও সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে বলে তথ্য মিলেছে।
জঙ্গি সংগঠনগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি), তালেবান এবং আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস) এর মধ্যে সমর্থন ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা আফগানিস্তানে যোদ্ধা ও প্রশিক্ষণ শিবির ভাগাভাগি করছে এবং তেহরিক-ই-জিহাদ পাকিস্তানের (টিজেপি) ব্যানারে আরও প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে। কিছু দেশ অনুমান করেছে যে আইএসআইএল-কে যোদ্ধাদের সংখ্যা ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার হয়েছে। অর্থাৎ ক্রমশ বাড়ছে ঝুঁকি।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।