ISRO-এর চন্দ্রযান-২ বড় সাফল্য, প্রথমবারের মতো চাঁদে মিলল প্রচুর সোডিয়াম

The Astrophysical Journal Letters-এ প্রকাশিত ISRO-এর এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে ক্লাস স্পেকট্রোমিটার তার হাই সেনসিভিটির কারণে চাঁদে সোডিয়ামের একটি পাতলা স্তর সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এটি বেঙ্গালুরুতে ইসরোর ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে।

আপনি কি জানেন যে চাঁদের একটি লেজ ছিল যা খালি চোখে দেখা যেত না? শুনতে অবাক লাগলেও বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে এটি জানেন এবং সম্প্রতি ভারতের চন্দ্রযান ২ এর প্রমাণ পেয়েছে। জানা গিয়েছে যে আমাদের মহাজাগতিক প্রতিবেশীর পৃষ্ঠে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম উপাদান রয়েছে। চাঁদের ধূমকেতুর মতো লেজটি এই ক্ষারযুক্ত আর্থ ধাতু দ্বারা গঠিত যা শক্তিশালী টেলিস্কোপগুলি দেখতে পারে। আসলে এমনকি খুব বিরল চন্দ্র বায়ুমণ্ডলে সোডিয়াম পরমাণু রয়েছে যা এর পৃষ্ঠ থেকে মুক্তি পেয়েছে। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ইসরো চন্দ্রযান-২ অরবিটার চাঁদে প্রথমবারের মতো বিপুল পরিমাণ সোডিয়াম শনাক্ত করেছে। এই কাজটি করা হয়েছে অরবিটারে স্থাপিত এক্স-রে স্পেকট্রোমিটার 'ক্লাস' দিয়ে। এই সাফল্য চাঁদে সোডিয়ামের সঠিক পরিমাণ জানার পথ খুলে দিয়েছে।

চাঁদে সোডিয়ামের পাতলা স্তর
The Astrophysical Journal Letters-এ প্রকাশিত ISRO-এর এই গবেষণায় বলা হয়েছে যে ক্লাস স্পেকট্রোমিটার তার হাই সেনসিভিটির কারণে চাঁদে সোডিয়ামের একটি পাতলা স্তর সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এটি বেঙ্গালুরুতে ইসরোর ইউআর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে।

Latest Videos

গবেষকরা বলছেন যে সোডিয়াম স্তরটি চাঁদের জমির কণার সাথে দুর্বলভাবে সংযুক্ত হতে পারে। যদি এই সোডিয়াম চাঁদের খনিজগুলির অংশ হয়, তবে এই সোডিয়াম পরমাণুগুলি সৌর বায়ু বা অতিবেগুনী বিকিরণের মাধ্যমে পৃষ্ঠ থেকে আরও সহজে নির্গত হতে পারে।

চাঁদে সোডিয়াম খুঁজে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার

চাঁদের যে পৃষ্ঠে সোডিয়াম পাওয়া যায় তাকে বলা হয় এক্সোস্ফিয়ার। এই অঞ্চলটি চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে শুরু হয় এবং হাজার হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। চন্দ্রযান-২-এর এই আবিষ্কার চাঁদ ও বহিঃমণ্ডলের মধ্যে সম্পর্ক ও সমন্বয় পরীক্ষা করতে সাহায্য করবে। চাঁদের আলোর বায়ুমণ্ডলে সোডিয়ামের উপস্থিতি একটি আকর্ষণীয় দিক যা উপাদানটির প্রতি বিজ্ঞানীদের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে।

আগেও অনুসন্ধান করা হয়েছে

চন্দ্রযান-২-এর আগে, চন্দ্রযান-১-এর এক্স-রে ফ্লুরোসেন্স স্পেকট্রোমিটারও চন্দ্র পৃষ্ঠে সোডিয়ামের সম্ভাবনার পূর্বাভাস দিয়েছিল। এর পাশাপাশি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার অ্যাপোলো মিশন, সোভিয়েত ইউনিয়নের লুনা প্রোগ্রাম এবং চিনের চ্যাং ই মিশনের নমুনার গবেষণায়ও কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। যাইহোক, শুধুমাত্র চন্দ্রযান-২ প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম আবিষ্কার করতে পেরেছে। 

চন্দ্রযান-২ মিশন কি?

চন্দ্রযান-২ আসলে চন্দ্রযান-১ মিশনের একটি নতুন সংস্করণ। এটি ২২ জুলাই ২০১৯ তারিখে শ্রীহরিকোটা রেঞ্জ থেকে পতাকাবাহিত হয়েছিল। এটি অরবিটার, ল্যান্ডার (বিক্রম) এবং রোভার (প্রজ্ঞান) নিয়ে গঠিত। চন্দ্রযান-১-এ শুধুমাত্র অরবিটার ছিল, যেটি চাঁদের কক্ষপথে ঘুরত। ছয়ই সেপ্টেম্বর ২০১৯-এ, ইসরো চন্দ্রযান-২ এর মাধ্যমে চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণের প্রথম প্রচেষ্টা করেছিল। এই মিশনে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু অবতরণের মাত্র ৫০০ মিটার আগে ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

Share this article
click me!

Latest Videos

লজ্জা মমতার! জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্য এই বাংলা!| Suvendu Adhikari #shorts #shortsvideo #suvenduadhikari
PM Modi Live : কুয়েতে Gulf Spic-এর ভারতীয় কর্মীদের সঙ্গে আড্ডা মোদীর, দেখুন সরাসরি
পুলিশের তৎপরতায় বানচাল ডাকাতির প্ল্যান! গ্রেফতার ২ অপরাধী, চাঞ্চল্য Birbhum-এ
Suvendu Adhikari: 'কত বড় জিহাদি, রামনবমীর মিছিলে ঢিল মেরে দেখাও', হুঙ্কার শুভেন্দুর
খাদান নিয়ে Dev কে বিশ্রী আক্রমণ রাজের, দেবের পাশে দাঁড়িয়ে পাল্টা দিলেন Aritra Dutta Banik