শেক্সপিয়ার লিখে গিয়েছিলেন, 'নামে কী আসে যায়'। কিন্তু আপাতত একটা উপযুক্ত নাম খুঁজে পাওয়াই ইসরোর সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। গত সোমবার বেলা ২টো বেজে ৪৩ মিনিটে সফলভাবে উৎক্ষেপন হয়েছে চন্দ্রযান ২-এর। এখন সে ছুটে চলেছে চাঁদের উদ্দেশ্যে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাঁদের বুকে নামার কথা স্পেস ল্যান্ডার বিক্রমের। কিন্তু যেখানে সে নামবে, সেই জায়গাটার একটা নাম চাই তো। সেই নামই এখন হাতড়ে বেড়াচ্ছ ইসরো।
ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবান জানিয়েছেন, বিক্রম চাঁদের যে অংশে নামবে তাঁর নামেরক সন্ধান করা হচ্ছে। তবে এখনও এই নিয়ে কোনও নামের তালিকা তৈরি করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার কাজ চলছে। শিবান জানিয়েছেন, হাতে এখনও দুই মাসের বেশি সময় আছে। এর মধ্যেই একটি নাম ঠিক করে ফেলা হবে। তবে সেই নাম বাছাই হয়ে গেলেও ল্যান্ডিং-এর আগে তা গোপনই রাখা হবে। চাঁদের মাটিতে বিক্রম পা রাখার পর সম্ভবত প্রদানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই নামটি ঘোষণা করবেন।
এই নিয়ে বেশ সাবধানতা অবলম্বন করছে ইসরো। নাম যাতে আগে ভাগে কোনও ভাবেই ফাঁস না হয়ে যায় সেই দিকটিও দেখা হবে। কারণ উৎক্ষেপণে সাফল্য এলেও এখনও আসল কাজটাই বাকি। যে কোনও স্পেস মিশনেই সবচেয়ে কঠিন অংশ হল ল্যান্ডিং বা অবতরণ। তার উপর চাঁদের ভূপৃষ্ঠ অসমান, গর্তে ভরা। কাজেই বিক্রমের সঠিকতভাবে অবতরণ করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আগে থেকে অবতরণের এলাকাটির নামকরণ করা হল, আর তারপর অবতরণ সফল না হলে বিশ্বে ভারতের মুখ পুড়বে। তা যাতে না হয়, তার জন্যই গোপনীয়তা নেওয়া হচ্ছ।
এর আগে ২০০৮ সালে ভারতের প্রথম চন্দ্রাভিযানে চিহ্নিত করার জন্য, শেকলটন ক্রেটারের কাছে মুন ইমপ্যাক্ট প্রোবের এলাকাটিকে 'জওহর পয়েন্ট' হিসেবে দেওয়া হয়। চন্দ্রযান ১ চাঁদে পৌঁছেছিল ১৪ নভেম্বর শিশু দিবসের দিন। ওই একই দিনে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর জন্মদিন ছিল।