পুলওয়ামা হামলার মতই একটি বড়সড় হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। কিন্তু সেই হামলার ছক ভেস্তে দিল সেনা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরে জাতীয় সকড়ের ধারেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৫২ কেজে বিষ্ফোরক। সেনা বাহিনী সূত্রে খবর নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর আবারও পুলওয়ামার কায়দায় হামলা চালানোর কারণেই প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল। সংলগ্ন এলাকা গুলিতে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে। কে বা কারা বিস্ফোরক মজুত করে রেখেছিল তার খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। ঘটনার দিকে নজর রাখতে গোয়েন্দারাও।
সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ার সেই বৃতিতে বলা হয়েছে, এদিন সকাল ৮টা নাগাদ কারেওয়া এলাকায় অভিযান চলিয়ে মাটির তলা থেকে একটি সিনটেক্সের একটি ট্যাঙ্ক উদ্ধার হয়। আর তার মধ্যেই ছিল বিস্ফোরকের ৪১৬টি প্যাকেট। প্রতিটি প্যাকেটের ওজন ১২৫ গ্রাম। সবমিলিয়ে মোট ৫২ কিলো বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আরও একটি ট্যাঙ্ক উদ্ধার হয়েছে যেটিতে রাখা ছিল ৫০টি বিস্ফোরক। সেনা আধিকারিকদের কথায় বিস্ফোরকগুলি ছিল সুপার ৯০।
গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি একটি আত্মঘাতী জঙ্গি বিস্ফোরণের সিআরপিএফএর ৪০ জওয়ান শহিদ হয়েছিল। জাতীয় সড়কের যে জায়গা থেকে বিস্ফোরক পাওয়া গেছে সেটি ওই এলাকার খুব কাছেই। সেনা আধিকারিকা জানিয়েছে গত বছর হামলার সময় জঙ্গিরা ৩৬ কেজি আরডিএক্স প্ল্যাস্টিক বিস্ফোরক ব্যবহার করেছিলেন। ইতিমধ্যেই ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলার চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। যেখানে নাম রয়েছে জইশ জঙ্গিদের।
তবে এখনও পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। তা ইতিমধ্যেই মেনে নিয়েছে কেন্দ্র। তবে এলাকায় নিরাপত্তার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা চালান হচ্ছে। চলতি বছরই ১১১ বার অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছেয স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি মঙ্গলবার লোকসভায় এই তথ্য পেশ করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন চলতি বছপ মার্চ থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৩৮জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।