চলতি বছরের শেষেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। করোনা আবহের মধ্যেই ক্রমেই উত্তাপ বাড়ছে সেই নির্বাচনকে ঘিরে। আর এর মধ্যেই গোবলয়ের এই রাজ্যে বড় চমক। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীকেই দল থেকে বহিষ্কার করে দিলেন নীতিশ কুমার।
শোনাযাচ্ছে সোমবারই শিল্পমন্ত্রীর পদ থেকে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিচ্ছেন শ্যাম রজক। অবশ্য তার আগেই দলবিরোধী কাজের অভিযোগ এনে তাঁকে জেডিইউ থেকে বহিষ্কার করা হল।
রবিবারই বিহার সরকারের মন্ত্রী শ্যাম রজককে জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শ্যাম রজকে সোমবারই মন্ত্রীপদ থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। জানা যাচ্ছে জেডিইউ-এর রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিং এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। দলের তরফে বলা হয়েছে, জেডিইউর রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিং ফুলওয়ারী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যাম রজকের প্রাথমিক সদস্যপদ খারিজ করেছেন এবং তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন।
এর পরেই শ্যাম রজককে বিহারের মন্ত্রীসভা থেকে পজত্যাগ করতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। ইতিমধ্যে রাজ্যপাল ফাগু চৌহানও মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সুপারিশকে অনুমোদন দিয়েছেন। সূত্র বলছে, শ্যাম রজক এবার রাষ্ট্রীয় জনতা দলে (আরজেডি) যোগ দিতে পারেন। তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।
তবে আরজেডি থেকে জেডিইউতে আসা শ্যাম রজক এক সময় লালু প্রসাদ যাদবের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই বিবেচিত হতেন। শ্যাম রজককে বিহারের রাবড়ি দেবী সরকারের মন্ত্রীও করা হয়েছিল।
চলতি বিধানসভা নির্বাচনে জেডিইউয়ের হয়ে তিনি টিকিট নাও পেতে পারেন এমন আশঙ্কায় ছিলেন এই নেতা। নীতিশ জমানায় মন্ত্রী হলেও তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন ছিল। মন্ত্রী থাকা অবস্থাতেই প্রায় ছয় মাস ধরে তিনি তফসিলি জাতি-উপজাতি সংরক্ষণ বাঁচাও সংঘর্ষ মোর্চা চালাচ্ছিলেন। তিনি এতে সব দলের দলিত বিধায়ককে যুক্ত করে নিজেকে নেতা হিসাবে দেখিয়েছিলেন।
শ্যাম রজক ২০০৯ সালে আরজেডি ছেড়ে জেডিইউতে এসেছিলেন। তারপরে তিনি আরজেডিতে তার অপমানের কথা বলেছিলেন। এর পরে ২০১০ সালে তিনি জেডিউর টিকিটে ফুলওয়ারি শরীফ আসন থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং নীতীশ সরকারের মন্ত্রী হন। ২০১৫ সালে তিনি জেডিউর টিকিটে একই আসন থেকে জিতেছিলেন তবে মহাজোট সরকারের মন্ত্রী হতে পারেননি। তবে ২০১৮ সালে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন।