গোটা দেশজুড়ে যেন চাকরির আকাল। করা হবে মোট ২২০০ শূন্যপদে নিয়োগ। আর তার জন্য জমা পড়ল ২৫০০০-রও বেশি আবেদন।
গোটা দেশজুড়ে যেন চাকরির আকাল। করা হবে মোট ২২০০ শূন্যপদে নিয়োগ। আর তার জন্য জমা পড়ল ২৫০০০-রও বেশি আবেদন।
হ্যাঁ, আর সেই পরীক্ষার্থীদের ভিড় সামলাতে গিয়ে কার্যত পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হল। পুরো হিমশিম খেতে হল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, পুলিশ এবং এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চাকরিপ্রার্থীদের ভিড়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রশ্ন উঠে গেল দেশজুড়ে চাকরির সঙ্কট নিয়েও।
জানা যাচ্ছে, এয়ার ইন্ডিয়ার তরফ থেকে মুম্বই বিমানবন্দরে কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়। এয়ারপোর্ট লোডার হিসেবেই এই নিয়োগের কথা বলা হয়। যাদের কাজ মূলত বিমানে যাত্রীদের ব্যাগ ওঠানো এবং নামানো। সেই পদে ২২১৬ কর্মী নিয়োগের একটি বিজ্ঞপ্তি বেরোয়।
আর তাতে আবেদন জানানোর জন্য হাজির হয় প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি আবেদনকারী। কাউন্টারে কে আগে আবেদনপত্র জমা দেবেন, তা নিয়ে রীতিমতো হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভিড়ের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন সব চাকরিপ্রার্থীরা।
এমনকি, খাবার কিংবা জলও জোটেনি তাদের। শৌচালয়েও যেতে পারেননি তারা। কারণ, লাইন ছেড়ে বেরোলেই যেন ভয়। প্রচণ্ড গরম এবং তার মধ্যে ভিড়। ফলে, অনেক চাকরিপ্রার্থীই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই গুজরাটের ভারুচ জেলায় একটি সংস্থায় চাকরিপ্রার্থীদের ধাক্কাধাক্কির ছবি সামনে এসেছিল। মাত্র ১০টি শূন্যপদের জন্য প্রায় ২০০০ জন আবেদনকারী হাজির হন। ভিড়ের চাপে কার্যত রেলিং ভেঙে পড়ে যায়।
এই ঘটনায় আহত হন বেশকয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। আর এবার মুম্বইতেও দেখা গেল সেই একই ছবি। এদিকে মুম্বই বিমানবন্দরে চাকরিপ্রার্থীদের এই ভিড়ের ছবি পোস্ট করে কংগ্রেস সাংসদ বর্ষা গায়কোয়াড় প্রশ্ন তুলেছেন বেকারত্ব ইস্যু নিয়ে। সেইসঙ্গে, তিনি বিজেপিকে তীব্র আক্রমণও করেছেন।
তাঁর কথায়, “বিগত ১০ বছরে বেকারত্ব এতটাই বেড়ে গেছে যে, এই দেশের যুব প্রজন্ম রাশিয়া-ইজরায়েলের যুদ্ধে যেতেও রাজি হয়ে যাচ্ছে। চাকরির কথা শুনলেই হাজার হাজার প্রার্থী ভিড় জমাচ্ছে। পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।