আজাদ-কে জামিন দিয়ে আলোচনায় কামিনি, ধর্ষকদের লিঙ্গচ্ছেদের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি

  • বরাবরই বিতর্কিত বিচারক কামিনী লাউ
  • চন্দ্রশেখর আজাদকে জামিন দিয়েছিলেন তিনি
  • পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন তিসহাজারি আদালতে
  • ধর্ষকদের লিঙ্গচ্ছেদের পক্ষেও সওয়াল করেছিলেন তিনি

Sabuj Calcutta | Published : Jan 18, 2020 8:36 AM IST

তিনি বরাবরই বিতর্কিত যা মনে হয় তা-ই বলে দেন তাই হাইকোর্টের এক বিচারপতি তাঁকে টার্গেট করেছেন বলে মন্তব্য় করতেও তিনি বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেন না অন্য়দিকে ধর্ষকদের কখনও কেমিকেল কাস্ট্রেশনের পক্ষে, কখনও-বা পুরোপুরি কাস্ট্রেশন অর্থাৎ লিঙ্গচ্ছেদের পক্ষে সওয়াল করতেও তাঁর কোনও অসুবিধে হয় না তিনি দিল্লির তিসহাজারি কোর্টের বিচারক কামিনি লাউসম্প্রতি ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদকে  জামিন দিয়েছেন যিনি দেশজুড়ে বিতর্কিত হয়েছেন

আদালতে সেদিন সরকার পক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে কামিনী লাউয়ের কথোপকথন রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায় দেশজুড়েসরকারপক্ষের আইনজীবীকে রীতমতো ভর্ৎসনা করে ওই বিচারক বলেন, "আপনারা কি সংবিধান পড়েছেনকে বলেছে প্রতিবাদ করা যাবে নাআপনারা এমন করছেন, যেন মনে হচ্ছে জামা মসজিদ পাকিস্তানে"

১৯৯২ সালে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই একের-পর-এক বিতর্ক তুলেছেন ওই বিচারক   একসময়ে ধর্ষকদের কেমিকেল ক্য়াস্ট্রেশনের পক্ষে জোর সওয়াল করেন তিনি  ২০১১-র এপ্রিলে একটি মামলার বিচার করছিলেন তিনি। সৎ মেয়েকে বারংবার ধর্ষণ করার অপরাধে দোষী সাব্য়স্ত করে এক ব্য়ক্তিকে ১৫ বছর জেলের সাজা শুনিয়েছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি ধর্ষকদের ক্য়াস্ট্রেশন বা লিঙ্গচ্ছেদের পক্ষে সওয়াল করে খোলাখুলি এক বিতর্ক আহ্বান করেছিলেন তিনি। আবার তার কয়েকবছর পর,  নিজেই এই লিঙ্গচ্ছেদকে 'তালিবানীয়' বলে অভিহিত করেছিলেন

২০১৫ সালে তিনি একটি মামলার বিচার করছিলেন  সেখানে বলপূর্বক লিঙ্গচ্ছেদের অপরাধে অভিযুক্ত দু-জনকে মুক্তি দেন তিনি তিনি দেখেন, যার লিঙ্গচ্ছেদ করা হচ্ছিল, সে নিজেই কিন্তু তা চেয়েছিল তখনই তিনি নাকি ওই লিঙ্গচ্ছেদের বিষয়টিকে 'আয়রনিকাল ও হিপোক্রিটিকাল' বলে অভিহিত করেন কারণ তিনি লক্ষ করেন, একজন মানুষ যখন কিছু রোজগারের আশায় স্বেচ্ছায় নিজের লিঙ্গচ্ছেদ করতে যান, তখন একে ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে দাঁড় করালে তাকে 'তালিবানীয়'   বলা হবে

আসলে কামিনী লাউকে ঠিক একরৈখিকভাবে বিচার করা যায় না নিজেই যার পক্ষে সওয়াল করছেন, নিজেই আবার তার বিরোধিতা করছেনযে কারণে ভীমসেনার প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদের জামিন মামলায় শুনানিতে প্রথমদিন সরকার তথা পুলিশকে তিনি জোর ভর্ৎসনা করলেন, আমরা সবাই তা দেখলামসরকারি আইনজীবীকে তাঁর কড়়া ভর্ৎসনা দেশজুড়ে আশার আলো দেখালো নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদীদেররীতিমতো 'হিরো' হয়ে গেলেন কামিনী লাউকিন্তু পরের দিন, জামিন দেওয়ার সময়ে কামিনী লাউ আজাদের ওপর নানারকমের বিধিনিষেধ চাপালেন জামিনের শর্ত হিসেবেযেমন একমাস দিল্লিতে থাকতে পারবেন না ভীমসেনা প্রধানপ্রথমদিন যাঁরা বিচারকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন, দ্বিতীয়দিনে তাঁরাই ধন্দে পড়ে গেলেন  এইভাবেই কামিনী লাউ বরাবর বিতর্কিত ও খবরের শিরোনামে থেকেছেন

Share this article
click me!