আগাম বেতন দিতে অস্বীকার, ছাত্রীকে গুলি করে মারল শিক্ষক, চাঞ্চল্য

Tamalika Chakraborty |  
Published : Oct 27, 2019, 09:58 AM IST
আগাম বেতন দিতে অস্বীকার, ছাত্রীকে গুলি করে মারল শিক্ষক, চাঞ্চল্য

সংক্ষিপ্ত

ছাত্রীকে অনেকদিন ধরে মানসিক নির্যাতন করছিলেন শিক্ষক আগাম বেতন দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শিক্ষক ছাত্রী আগাম বেতন দিতে অস্বীকার করে রাস্তায় গুলি করে ছাত্রীকে হত্যা করে শিক্ষক

শিক্ষক চেয়েছিলেন আগেই  বেতন দিক ছাত্রী। কিন্তু তাতে ছাত্রী কোনওভাবেই রাজি হয়নি। বার বার শিক্ষক বলার পরেও ছাত্রী জানিয়ে দেয় কোনওভাবেই আগে এতগুলো টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। রাগে  ছাত্রীকেই গুলি করলেন কানপুরের এক শিক্ষক। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ছাত্রীর পরিবার থেকে  প্রতিবেশী ও অভিভাবকরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। 

জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী যখন স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল, সেই সময়  তাকে শিক্ষক তিনটে গুলি ছোড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটা গুলি ওই ছাত্রীর গলায় লাগলে, সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।  যত দ্রুত সম্ভব ছাত্রীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে সমস্ত চিকিৎসাকে ব্যর্থ করে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। ছাত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই তার পরিবার ও অভিভাবকের মধ্যে অসন্তোষ চরম আকারে পৌঁছায়। শুধুমাত্র আগাম বেতন দিতে রাজি না হওয়ার জন্য এক ছাত্রীর মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউ। ক্ষুব্ধ জনতা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করে। এমনকী  বিচারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে। ক্ষুব্ধ জনতা, অভিভাবক অথবা ছাত্রীর পরিবারের কোনও সদস্য সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলতে অস্বীকার করে।  অভিযুক্ত শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে ছাত্রীর পরিবার। 

কানপুরের পুলিশ আধিকারিক অনুরাগ ভাট জানিয়েছেন, শিক্ষকের গুলিতে আহত ছাত্রীর বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী নিখিল যাদব জানিয়েছেন, গুলি লাগার পরেই গ্রামবাসীরা যত দ্রুত সম্ভব ছাত্রীটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু রাতের দিকে ক্রমেই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত গ্রামবাসীরা রাস্তা আটক করেন। পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গুলি করার পরেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  কানপুর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম শৈলেন্দ্র রাজপুত। দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীর ওপর মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিনে বলেও  পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

Vande Mataram: জানেন বন্দে মাতরমের কোন একটি শব্দ, যা নিয়ে স্বাধীনতার এত বছর পরেও শেষ হয়নি বিতর্ক!
প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম জর্ডান সফর 'ঐতিহাসিক', বললেন ভারতীয় দূত