শনিবার গণনার মাঝ পথেই কর্ণাটকে জনতার রায় কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপরই পরাজয় স্বীকার করে নেয় জনতা দল সেকুলার নেতা।
অবশেষে পরাজয় স্বীকার করলেন জনতা দল সেকুলার নেতা এইচ.ডি. কুমারস্বামী। পাশাপাশি কর্ণাটকের নতুন সরকারের মঙ্গল কামনাও করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি বিজেপির। বিপুল ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস। এবার কর্ণাটকে মানুষের রায়কে স্বাগত জানালেন এইচ.ডি. কুমারস্বামী। তবে এই হার যে চূড়ান্ত হার নয় সে কথাও উল্লেখ করেছেন স্বামী। জেডিএস আগামী দিনেও লড়াই চালিয়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শনিবার গণনার মাঝ পথেই কর্ণাটকে জনতার রায় কার্যত স্পষ্ট হয়ে যায়। এরপরই পরাজয় স্বীকার করে নেয় জনতা দল সেকুলার নেতা। এইচ.ডি. কুমারস্বামী এদিন বলেন, 'এই হার চূড়ান্ত নয়। লড়াই চালিয়ে যাব। আমি জেডি এসকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের ধন্যবাদ জানাই। আমার বা আমার পরিবারের জন্য নির্বাচনী ক্ষতি নতুন নয়। আমার বাবা এইচ.ডি. দেবগৌড়া, ভাই এইচ.ডি. রেভান্না এবং আমি সবাই এর আগে নির্বাচনে হেরেছি। দলের সংগঠনকে সুসংগঠিত করতে সচেষ্ট থাকব। পার্টি ক্যাডারদের উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই।'
অন্যদিকে শনিবার কর্ণাটকের ফলাফল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে লিখলেন,'পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনতার এই রায়কে কুর্নিশ জানাই। রুঢ়, স্বৈরাচারী রাজনীতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। কোনও কেন্দ্রীয় নকশা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষে রায়কে দমন করতে পারবে না। এটাই মূল গল্পের সারাংশ, এটাই ভবিষ্যতের শিক্ষা।'
প্রসঙ্গত, দলের এই বিপুল জয় পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবার কর্ণাটকে ভালোবাসার বিপণি খোলার বার্তা দেন। পাশাপাশি এই জয়কে পেশির আস্ফালনের সামনে মানুষের রায়ের জয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে দলের কর্মীদের শুভেচ্ছাও জানালেন রাহুল। কর্ণাটকে বিপুল ভোটে জয়ের পর সাংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী বলেন,'সমস্ত কর্ণাটকবাসীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কংগ্রেস কর্ণাটকের গরীব মানুষের পাশে ছিল।' তিনি আরও বলেন,'পেশির আস্ফালনের সামনে জনশক্তির জয় হল। কর্ণাটক যা করে দেখাল, এরপর প্রতিটি রাজ্য এই মডেল তৈরি করবে।' রাহুলের সংযোজন,'কর্ণাটকে ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে, এবার ভালোবাসার বিপণি খুলবে। মানুষ দেখিয়ে দিল ভালোবাসার জয় অবসম্ভাবি।'