হঠাৎ করেই একেবারে আলোচনার কেন্দ্রে এসে পড়েছেন কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক শ্রীমন্ত পাতিল। এদিন আস্থাভোট থাকা সত্ত্বেও অসুস্থতার কারণে বিধানসভায় অনুপস্থিত আছেন তিনি। সারা দিনই তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। শেষ পর্যন্ত বিজেপি তাঁকে অপহরণ করেছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করল কংগ্রেস।
আস্থাভোটের আগে ঘোড়া কেনা-বেচা ঠেকাতে নিজেদের সব বিধায়ককে বেঙ্গালুরুর এক রিসর্টে রেখেছিল কংগ্রেস। বুধবার রাতে হঠাতই সেখান থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে খোঁজ মেলে তাঁর। জানা যায় বেঙ্গালুরু থেকে চেন্নাই হয়ে তিনি মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বুকে ব্যথা নিয়ে। আর তাকে নিয়েই চলল নানা রকম জল্পনা।
শুরুতে কংগ্রেস তাঁর ছবি দেখিয়ে বিধানসভায় বলে, সম্পুর্ণ সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও বিজেপির ষড়যন্ত্রের কারণেই মুম্বই গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বেঙ্গালুরুতে ওই রিসর্টের কাছেই হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও, তাঁকে মুম্বই যেতে হল কেন সেই প্রশ্নও তোলা হয়।
স্পিকার রমেশ কুমার জানান, তাঁকে শ্রীমন্ত পাতিল একটি চিঠি দিয়ে অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু সেই চিঠিতে না আছে তারিখ, না আছে লেটার হেড। কাজেই সেটি শ্রীমন্ত পাতিলেরই লেখা সেটা নিশ্চিত নয়। স্বরাষ্ট্র দফতরকে শ্রীমন্তের খোঁজ নিয়ে শুক্রবার জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, তিনি নিজের ইচ্ছায় মুম্বই গিয়েছেন কিনা, গেলে কেন বেঙ্গালুরুতে এত হাসপাতাল থাকতে তাঁকে মুম্বই যেতে হল, এই সব বিষয়গুলি নিয়ে জানার জন্য নির্দেশ দেন রমেশ কুমার। এখানেই বিষয়টি শেষ হয়নি। বিধানসভায় বারবার কংগ্রেস ও জেডিএস বিধায়করা শ্রীমন্ত পাতিলের বিষয়টি তুলে ধরে বিজেপির জবাব চেয়েছে।
এরপর বিকেলে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারের কাছে কংগ্রেস সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে শ্রীমন্ত পাতিলকে অপহরণ করার অভিযোগ দায়ের করে। এ কথাও বলা হয় যে, আস্থা ভোটে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারকে হারানোর উদ্দেশ্য়েই শ্রীমন্তকে অপহরণ করা হয়েছে।
তবে এদিন সংবাদসংস্থা এএনআই-এর প্রকাশিত ছবিতে মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে শ্রীমন্তকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা গিয়েছে। পরে তাঁকে জর্জ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেও হাসপাতালের বিছানায় শোয়া অবস্থায় তাঁর একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে।