কুমারস্বামী-র ভাষণে সরকার পতনের ইঙ্গিত, বেঙ্গালুরুতে জারি ১৪৪ ধারা

  • মঙ্গলবারই চূড়ান্ত ফয়েসালা কর্ণাটকের আস্থা ভোটের
  • সুপ্রিম কোর্টের সুনানি তে পাওয়া গেল রফাসুত্র
  • ইতিমধ্যেই সিদ্দারামাইয়া এবং ইয়েদুরাপ্পার বাক-যুদ্ধে সরগরম বিধানসভা
  • বেঙ্গালুরু তে জারি ১৪৪ ধারা 

debojyoti AN | Published : Jul 23, 2019 1:52 PM IST

ক্রমশ চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে চলেছে কর্ণাটকের রাজনৈতিক রঙ্গ। মঙ্গলবার সন্ধ্যে ৬টার সময় আস্থা ভোটের চূড়ান্ত সময় ঠিক করা হলেও এই প্রতিবেদনের প্রকাশের সময় পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয়নি। ইতিমধ্যেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে ইয়েদুরাপ্পা এবং সিদ্দারামাইয়ার বাক-যুদ্ধে। পরিষদীয় দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া  বিজেপি নেতা ইয়েদুরাপ্পা-কে লক্ষ করে বলেন, যে তারা যদি এ যাত্রায় জোট সরকার ফেলেও দিলেও তাদের নিজেদের সরকার ৬ মাস ও টিকবে না। এর  আগে কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার বিতর্ক উসকে দিয়ে দাবি করেন তাঁরা চাইলেই বিদ্রোহী বিধায়কদের দলীয় হেফাজতে আটকে রাখতে পারতেন- শুধুমাত্র গণতন্ত্রে তাদের বিশ্বাস আছে বলে তাঁরা তা করেননি। 

সিদ্দারামাইয়া আরও জানান যে ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করছে যে এই পদত্যাগকাণ্ডের সঙ্গে বিজেপি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে জড়িত। বিজেপি যতই দাবি করুক যে তারা 'ঘোড়া কেনা বেচার' রাজনীতি করে না, রাজ্যবাসীর কাছে সমস্তটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।  তিনি আরও বলেন যে সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ হাত বদল ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীও তাঁর বক্তৃতায় অভিযোগ করেন যে বিজেপির অনৈতিক রাজনীতির সাক্ষী রইল গোটা কর্ণাটক।  

আস্থা ভোটের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার জন্য দুই নির্দল বিধায়ক সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। মঙ্গলবার সেই মামলার সুনানি শেষে বিচারপতি জানান, তিনি আশা করেন মঙ্গলবারের মধ্যেই বিধানসভায় আস্থা ভোট সংক্রান্ত সমস্ত জটিলতার অবসান ঘটবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনুমান ছিল যতদিন না সুপ্রিম কোর্ট কোনও রায় দিচ্ছে ততদিন শাসকপক্ষ ক্রমান্বয়ে আস্থা ভোট পিছিয়ে যাবে। বাস্তবে দেখা যায় তাদের অনুমানই সঠিক। যে কোনও ভাবে আস্থা ভোট ঠেকানোর জন্য কংগ্রেস এবং জে ডি এস বিধায়করা তিন বছর আগে ঘটে যাওয়া বিতর্কিত নতবন্দি নিয়ে পর্যন্ত বিতর্ক সভা বসিয়েছিলেন। 

ইতিমধ্যেই পাওয়া খবর অনুযায়ী দুই নির্দল বিধায়কের দখল নিয়ে ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুর রাস্তায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস এবং বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলার অবনতি রুখতে বেঙ্গালুরু জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে কর্ণাটক প্রশাসন। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী কুমারস্বামী দাবি করেছেন বিদ্রোহী বিধায়কদের রাজনৈতিক ভবিষ্যত শেষ হয়ে যাবে! যদিও এর আগে সিদ্দারামাইয়া পরিসংখ্যান দেখিয়ে দাবি করেছিলেন ২০১৩ সালের পর থেকে কোনও দল-বদল বিধায়ক দ্বিতীয় বারের জন্য জিতে আসতে পারেনি। এখন দেখার তাদের ভবিষ্যতবাণী শেষ পর্যন্ত মেলে কিনা। 


 

Share this article
click me!