কর্নাটকে বিজেপি সরকার, মিলল না অমিতের সবুজ সঙ্কেত! জানেন কেন

  • দুইদিন হয়ে গেল কর্নাটকে পতন হয়েছে কুমারস্বামী সরকারের
  • প্রথমিকভাবে সরকার গঠনের আশায় দারুণ আনন্দে ছিলেন বিজেপি নেতারা
  • কিন্তু আপাতত উচ্ছ্বাসের বেলুন অনেকটাই চুপসে গিয়েছে
  • সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এখনও সরকার গঠনের সবুজ সঙ্কেত দেননি

amartya lahiri | Published : Jul 25, 2019 12:53 PM IST

গত মঙ্গলবার কর্নাটক বিধানসৌধে আস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে পতন হয়েছে কুমারস্বামী সরকারের। স্বাভাবিক কারণেই তারপরই রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের আশায় দারুণ আনন্দে ছিলেন কর্নাটকের  বিজেপি নেতারা। কিন্তু পরবর্তী দুইদিনে তাদের উচ্ছ্বাসের বেলুন অনেকটাই চুপসে গিয়েছে। কারণ, দিল্লিতে বিজেপির সর্বাভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এখনও দক্ষিণ ভারতের এই রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনে সবুজ সঙ্কেত দেননি।  

দক্ষিণ ভারতের কোনও রাজ্য়েই ক্ষমতায় নেই বিজেপি। কাজেই কর্নাটকে বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ায় বেশ খুশিই হওয়ার কথা জাতীয় নেতৃত্বের। কিন্তু, ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাতে সায় দিতে পারছেন না অমিত শাহ। কীসের চিন্তায় সরকার গঠনে বাধ সাধছেন তিনি? রাজনৈতিক মহল বলছে, অন্তত চারটি কারণ রয়েছে এর পিছনে।

প্রথমত, জানা যাচ্ছে দিল্লিতে রাজ্যের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অমিত জানিয়েছেন, কংগ্রেস-জেডিএস'এর বিদ্রোহী নেতাদের উপর বিশ্বাস রাখাটা চাপের। এক দল ত্যাগ করে আসার পর তারা বিজেপিকেও ছেড়ে য়াবে না তার নিশ্চয়তা নেই। কাজেই তাদের দলে ধরে রাখতে গেলে মন্ত্রীত্ব দিতে হবে। না হলে বিজেপিরই মুখ পুড়তে পারে।

দ্বিতীয়ত, ১৫জন বিদ্রোহী বিধায়ককে যদি মন্ত্রীত্ব দিয়ে খুশি করতে হয়, তাহলে প্রায় সব মন্ত্রকই বিদ্রোহাদের হাতে থাকবে। তাতে করে বিজেপিু সরকারের কোনও বিশ্বাসযোগ্যতাই থাকবে না।

তৃতীয়ত, বিদ্রোহীদের মন্ত্রী করলে অন্য আরেক সমস্যা দেখা যেতে পারে। বিদ্রোহ হতে পারে বিজেপির অন্দরেই। দলের হয়ে দীর্ঘদিন ধরে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের মনেও মন্ত্রীত্ব পাওয়ার আশা রয়েছে। সেখানে, সদ্য দলে আসা বিদ্রোহীদৈর মন্ত্রীকত্ব পাওয়াটা তাঁরা ভাল চোখে নাও দেখতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে বিজেপির কায়দাতেই তাদের ভাঙিয়ে নিতে পারে কংগ্রেস-জেডিএস।

চতুর্থত, কর্নাটক বিধান সৌধে এই বিদ্রোহীরা ইস্তফাপত্র দিয়েছেন বটে, কিন্তু স্পিকার রমেশ কুমার এখনও সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করেননি। তিনি ইস্তফা গ্রহণ করবেন, না বর্জন করবেন, নাকি তাদের অয়োগ্য় বলে ঘো,ণা করবেন, সেই সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলে রয়েছে। এই অবস্থায় দীরে চলো নীতিু নিয়েই এগোচে চাইছেন অমিত শাহ। সব মিলিয়ে কর্নাটকের সরকার ফেলে দিয়ে বিজেপি নেতারা নিজেরাই এখন বিপাকে পড়েছেন।       

 

Share this article
click me!