প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেরলে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ৫০ জনেরও বেশি।
একটানা বৃষ্টি, বন্যা, ভূমিধ্বস। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কেরলে কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে(18 people killed)। নিখোঁজ ৫০ জনেরও বেশি (several missing)। কেরলের দক্ষিণ ও কেন্দ্রীয় অংশে ১১ টি জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (NDRF), দুটি সেনাবাহিনী এবং দুটি ডিফেন্স সার্ভিস কর্পস (DSC) সহ কেন্দ্রীয় বাহিনীর দল(central forces teams) মোতায়েন করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন শনিবার উদ্ধারকাজ ত্বরান্বিত করার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। এই বৈঠকে তিনি বলেন যে কোট্টায়াম সহ রাজ্যে ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সমস্ত উপায় ব্যবহার করা হবে। উদ্ধারকাজ চলবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন রাজ্যের কিছু অংশে পরিস্থিতি সত্যিই গুরুতর। জীবন বাঁচানোর জন্য রাজ্য সরকার সব কিছু করবে। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাহায্য চাওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। জেলাগুলিতে ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
এনডিআরএফ -এর একটি দল ইডুকির কোক্কায়ারে একটি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে যেখানে অবিরাম বৃষ্টির পর শনিবার ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) একটি দল বৃষ্টিপাতে এর্নাকুলাম জেলার মুভাত্তুপুঝায় স্থানীয়দের উদ্ধার করছে।
ভারী বৃষ্টির কারণে জলাশয়ের জলের স্তর বৃদ্ধির পরে পাঠানমথিত্তায় মনিয়ার বাঁধের শাটারগুলি খোলা হয়। কেরালার উপকূলে আরব সাগরের দক্ষিণ-পূর্বে নিম্নচাপ তৈরি হওয়াতেই এই ভারী বর্ষণ।
কেরালার পাঠানমথিত্তা জেলার রন্নী শহরে বন্যার মতো পরিস্থিতি, ভারী বৃষ্টির কারণে। আরব সাগরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কেরালার উপকূলে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে।