মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজ্যের বানিজ্যমন্ত্রীরা ইন্ডিয়ান চেম্বার আয়োজিত বিজনেস কনক্লেভে যোগদান করে এই কথাই জানিয়েছেন।
কলকাতা থেকে ব্যাঙ্কক পৌঁছন এখন আরও সহজ। প্লেনে নয় বরং সড়ক পথেই পাড়ি দেওয়া যাবে থাইল্যান্ডের রাজধানীতে। আর মাত্রা তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই এই সুবিধা পেতে চলেছে দেশবাসী। শেষ হয়ে এসেছে প্রস্তুতির কাজও। বিআইএমএসটিইসি (দ্য বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক্যাল কোঅপারেশন)-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আর কয়েক বছরের মধ্যেই শুরু হবে এই রোড পরিষেবা। মঙ্গলবার বিভিন্ন রাজ্যের বানিজ্যমন্ত্রীরা ইন্ডিয়ান চেম্বার আয়োজিত বিজনেস কনক্লেভে যোগদান করে এই কথাই জানিয়েছেন।
ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক, প্রস্তাবিত প্রকল্প পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই রাস্তা কলকাতা থেকে ব্যাঙ্কক পর্যন্ত যাবে। পথে সুখোথাই, থাইল্যান্ডের মায়ে সোট, ইয়াঙ্গুন, মান্দালে, কালেওয়ার মতো শহর ছুঁয়ে যাবে। এছাড়া ভারতে পৌঁছানোর আগে মিয়ানমারে তমুর মধ্য দিয়েও যাবে এই রাস্তা। ভারতে এই রাস্তা মোরে, কোহিমা, গুয়াহাটি, শ্রীরামপুর, শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার মধ্য দিয়ে যাবে। এই রাস্তা মোট ২,৮০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি পথ অতিক্রম করবে। ভারতে সবচেয়ে বেশি বিস্তার হবে এই রাস্তার। ক্রমে সংকীর্ণ হতে হতে থাইল্যান্ডে গিয়ে সবচেয়ে সংকীর্ণ হবে এই পথ।
থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী বিজয়ভাত ইসারভাকদি জানিয়েছেন এই থাইল্যান্ডের অংশ প্রায় তৈরি হয়ে এসেছে। তবে মায়ানমারের অংশ তৈরি হতে আরও তিন বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সেখানকার বাণিজ্যমন্ত্রী অং নাইং উ। থাই মন্ত্রী জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।তিনি নির্দেশ করেছিলেন যে মহাসড়কের মোট প্রসারিত হতে পারে হাইওয়ে ২,৫০০ কিলোমিটারের বেশি হতে পারে। অন্যদিকে মায়ানমারের বাণিজ্যমন্ত্রী সংবাদ সংস্থা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন তাঁদের আরও তিন বছর সময় লাগবে।