রায় বের হতেই উড়ল বেলুন, হল মুখ-মিস্টি! অপেক্ষা ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার

  • কুলভূষণকে নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় গিয়েছে ভারতের পক্ষেই
  • আর তারপরেই মহারাষ্ট্রে তাঁর গ্রামের বাড়িতে হল উৎসব
  • বেলুন উড়িয়ে মিস্টি মুখ করা হল তাঁর মুম্বইয়ের আবাসনেও
  • তবে তাঁর পরিবার বলছে, ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলে তবেই আনন্দল করবেন

 

amartya lahiri | Published : Jul 17, 2019 3:38 PM IST

আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের রায়ে বুধবার ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ পড়েছে। আর এই রায় বের হওয়ার পরই খুশির মহল দেখা গেল মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলার জাভলি গ্রামে। বেলুন উড়িয়ে, মিস্টিমুখ করে উৎসবে মাতলেন দক্ষিণ মুম্বইয়ের প্যারেলের বাসিন্দারাও।

জাভলি গ্রামেই জন্মেছিলেন কুলভূষণ। এখানে তাঁদের পারিবারিক জমিজমাও রয়েছে। একটি খামার বাড়িও বানিয়েছিলেন কুলভূষণ। নৌসেনার কাজ থেকে অবসরের পর এই গ্রামের বাড়িতে বছরে অন্তত দু-তিনবার করে আসতেনও তিনি। গ্রামের মানুষের মত পাকিস্তান মিথ্যা অভিযোগে কুলভূষণকে আটকে রেখেছে। তাঁদের দাবি ভারত সরকারে কর্তব্য পাকিস্তানের উপর চাপ দিয়ে কুলভূষণকে মুক্ত করা। এদিনের রায়ে সেইদিকেই এক কদম এগনো গেল বলে মনে করছেন গ্রামবাসীরা।

অন্যদিকে কয়েকবছর আগে থেকে পরিবার নিয়ে দক্ষিণ মুম্বইয়ের প্যারেলের এক আবাসনে থাকা শুরু করেছিলেন কুলভূষণ। এদিন সেখানে তাঁর বন্ধুরা সবাই এক জায়গায় টিভি নিয়ে বসেছিলেন মামলার রায় শুনতে। তাঁদের সকলের পরণে ছিল 'ভারত কুলভূষণের সঙ্গে আছে' লেখা টি শার্ট। শুনানি চলাকালীন সমানে তাঁরা কুলভূষণের মুক্তির জন্য প্রার্থনা করে গিয়েছেন।   

আর রায় বেরোতেই শুরু হয়ে যায় উৎসব। বেলুন ওড়ানো হয়, হয় ঘরে ঘরে মিস্টি বিতড়নও। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, লড়াইটা সবে শুরু হল বলে মনে করছেন তাঁরা। কুলভূষণের বাবা সুদীর যাদব ও কাকা সুভাষ যাদব দুজনেই পুলিশের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। তাঁর কাকা জানিয়েছেন, রায় ভারতের পক্ষে যাওয়ায় তাঁরা খুশি। কিন্তু ঘরের ছেলে ঘরে ফিরলে তবেই পুরোপুরি আনন্দে মাতবেন তাঁরা। এখন শুধু তারই অপেক্ষা।
 

 

Share this article
click me!