প্রতিপক্ষের আতঙ্ক বাড়াল লেজার গাইডেড অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল, লাদাখ উত্তেজনার মধ্যে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত

  • আরও পরীক্ষায় সফল ভারত
  • লেজার গাইডেড এটিজিএম সফল 
  • প্রতিপক্ষের সমর যান ধ্বংস করতে সক্ষম
  • শুভেচ্ছা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর
     

Saborni Mitra | Published : Sep 23, 2020 11:33 AM IST

অর্জুন ট্যাঙ্ক থেকে লেজার গাইডেড অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলের সফল উৎপণ হল। যা রণভূমিতে ভারতকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তুলবে বলেই আশা করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। আমেদনগরের আর্ম কর্প সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে গত ২২ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ মঙ্গলবার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এটি তিন কিলোমিটারদ দূরে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তুকে নির্ভুলভাবে টার্গেট করতে পারে। এই মিসাইলের সফল পরীক্ষার পর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ভেডপলমেন্ট অর্গানাইজেশনকে। তিনি বলেছেন, এটি অদূর ভবিষ্যতে ভারতের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। 


ডিআরডিও জানিয়েছেন মিসাইলটি প্রতিপক্ষের সাজোঁয়া ট্যাঙ্কগুলিকে ধ্বংস করতে সক্ষম। আর এই মিসাইলটি যেকোনও লঞ্চার থেকেই ব্যবহার করা যাবে। প্রথম দিনে অর্জুন ট্য়াঙ্ক থেকেই মিসাইলটি ছাড়া হয়েছিল। মিসাইলটি তৈরি করেছে পুনের আর্মেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট। সহযোগিতা করেছে পুনের হাই এনার্জি ম্যাটেরিয়ালস রিসার্চ ল্যাবরেটরি  আর  দেরহাদুনের ইনস্ট্রুমেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট।

মঙ্গলবারই ওড়িশার বালাসোর থেকে সফল উৎক্ষেপণ হল উচ্চ গতির এক্সপেনডেবল এরিয়াল টার্গেট যান 'অভয়াস'এর। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে এই যানটি। তৈরির কৃতিত্ব প্রতিরক্ষা গবেষণা আর উন্নয়ন সংস্থার। মঙ্গলবার পরপর দুটি যান পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। দুটি পরীক্ষাই সফল হয়েছে।  যে কোনও মিসাইল সিস্টেমের সঙ্গেই এটি ব্যবহার করা যাবে। ডিআরডিও-র অ্যারোনেটিক্যাল ডেভলপমেন্ট এসটাবলিশমেন্ট এর নক্সা তৈরি করেছে। এই যানটি দুটি আন্ডারলং বুস্টার ব্যবহার করে চালু করা হয়েছে। একটি ছোট গ্যাসের টারবাইন ইঞ্জিনের সাহায্যেই এটি চলে। দিকনির্দেশ আর নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করে ফ্লাইট কন্ট্রোল কম্পিউটার। গ্রাউন্ড বেস কোনও কম্পিউটারে মাধ্যমে এটিকে পরিচালনা করা যাবে বলেও জানান হয়েছে। সূত্রের খবর,  চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা বিভিন্ন ব়্যাডার আর ইলেট্রো-অপটিক সিস্টেমের মাধ্যমে পুরো বিষয়টিকে ট্র্যাক করেছিল।  

Share this article
click me!