মুম্বই হামলাকে হিন্দু সন্ত্রাস-এর রূপ দিতে চাওয়া হয়েছিল।
তার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবা।
শেষ পর্যন্ত মুম্বই পুলিশের তৎপড়তায় তা হয়নি।
এমনটাই জানালেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশকর্তা রাকেশ মারিয়া।
কাগজে, টিভিতে, ওয়েবসাইটে লেখা হত 'মুম্বই তছনছ হিন্দু সন্ত্রাসবাদীদের হামলায়'। জনৈক সমীর দীনেশ চৌধুরী-র পরিবার এবং প্রতিবেশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য সাংবাদিকরা বেঙ্গালুরু-তে তন্য তন্য করে খুঁজে বেড়াতেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ২৬/১১ মুম্বই হামলার জঙ্গি আজমল কাসব জীবন্ত অবস্থায় ধরা পড়ে যাওয়ায় লস্কর-ই-তৈবা' সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। স্মৃতি কথা 'লেট মি সে ইট নাও' বইতে এমনটাই দাবি করলেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশকর্তা রাকেশ মারিয়া।
তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানের ফরিদকোটের বাসিন্দা আজমল আমির কাসব-এর কাছ থেকে যে পরিচয়পত্রটি পাওয়া গিয়েছিল তাতে তার নাম লেখা ছিল সমীর দীনেশ চৌধুরী। শুধু কাসব-ই নয়, মুম্বই হামলার অন্যান্য জঙ্গিদের পরিচয়পত্রেও হিন্দু নাম ছিল। সেইসঙ্গে তার উর্দুতে নয়, হিন্দিতে কথা বলছিল। উপরন্তু, কাসব-সহ একাধিক জঙ্গির হাতে লাল সুকতো বাধা ছিল, যেমনটা সাধারণত হিন্দু দেব-দেবীর আশীর্বাদপ্রাপ্ত রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এভাবেই মুম্বই হামলা-কে হিন্দু সন্ত্রাসবাদের রূপ দিতে চেয়েছিল লস্কর-ই-তৈবা। তাদের পরিকল্পনা হয়তো সফলও হত, কিন্তু হয়নি ইন্সপেক্টর সঞ্জয় গোভিলকর-এর উপস্থিত বুদ্ধি ও সাব ইন্সপেক্টর তুকারাম অম্বলে-র বীরত্বের জন্য। তুকারাম আরেকটু হলেই গুলি চালাতেন। কিন্তু, গোভিলকর তাঁকে বলেন, কাসব-কে জীবন্ত ধরতে হবে। কারণ সে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ। তারপরই ৪০টি গুলি খেয়ে নিজের জীবন দিয়েও কাসব-কে ধরেছিলেন তুকারাম।