এডিআর বা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রাইটসের নতুন হিসেব বলছে ৯টি রাজনৈতিক দলের সব সাংসদই কোটিপতি। বিজেপির কোটিপতি সাংসদের সংখ্যা সবথেকে বেশি।
কোটিপতি সাংসদ একজন দুইজন নয়, চলতি সংসদ নির্বাচনে কোটিপতি সাংসদের হার ৯৩ শতাংশ। অর্থাৎ ৫৪৩ জন সাংসদের মধ্যে কোটিপতি সাংসদ ৫০৪ জন। একটি হিসেব বলছে গত চারটি লোসসভা ভোটে কোটিপতি সাংসদ বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। তবে এবার মাত্র ছাড়িয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে কোটিপতি সাংসদদের মধ্যে ৪২ শতাংশের সম্পদের পরিমাণ ১০ কোটির বেশি। মাত্র এক শতাংশ সাংসদের সম্পদের পরিমাণ ২০ লক্ষ টাকার কম।
এডিআর বা অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রাইটসের নতুন হিসেব বলছে ৯টি রাজনৈতিক দলের সব সাংসদই কোটিপতি। বিজেপির কোটিপতি সাংসদের সংখ্যা সবথেকে বেশি। এই দলের কোটিপতি সাংসদ ৯৫ শতাংশ। ৯৩ শতাংশ কোটিপতি সাংসদ নিয়ে পিছিয়ে নেই তৃণমূল কংগ্রেস। তবে চকমপ্রদ তথ্য হল দেশের মধ্যে সবথেকে গরীব দুই সাংসদ কিন্তু এই রাজ্যের। একজন বিজেপির জ্যোতির্ময় সিং। দ্বিতীয়জন তৃণমূল কংগ্রেসের মিতালি বাগ। এদের মোট সম্পদ ১০ লক্ষ টাকার কম।
২০০৯ সালে কোটিপতি সাংসদের হার ছিল ৫৮ শতাংশ। ২০১৪ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮২ শতাংশ। সম্পদের দিক থেকে সবথেকে প্রথম অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি সাংসদ চন্দ্রশেখর পেন্নাসালি। তাঁর মোট সম্পদ ৫ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। দ্বিতীয় তেলাঙ্গনার বিজেপি সাংসদ কোন্ডা বিশ্বেশ্বর রেড্ডি, তাঁর সম্পদ ৪ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। তৃতীয় স্থানে কংগ্রেস থেকে বিজেপিরে যোগদান করা নবীন জিন্দাল। তাঁর সম্পদ ১ হাজার ২৪১ কোটি টাকা। এবার আসি দরিদ্র সাংসদের কথায়। পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসজ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর সম্পদ মাত্র ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ২২৯ টাক। তারপরই রয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মিতালি বাগ, সম্পদ ৭ লক্ষ ৮৪ হাডার টাকা। উত্তর প্রদেশের সমাজবাদী পার্টির সদস্য প্রিয়া সরোজের সম্পত্তি ১১ লক্ষ টাকা।
কোটিপতি সাংসদের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বিজেপির নাম। ২৮০ জন সাংসদের মধ্যে ২২৭ জন কোটিপটি। তারপরই কংগ্রেস, ৮৮ জনের মধ্যে ৯২ জন কোটিপতি। তৃণমূলের ২৯ জনের মধ্যে ২৭ জন কোটিপটি। টিডিপি, জেডি(ইউ), শিবসেনা উদ্ধব ঠাকরে, এলপি, আরজেডি, আপ, এনসিপি ও ওয়েসির দলের সব সাংসদই কোটিপতি।