ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগ
অভিযোগ দায়ের করে কলকাতা পুলিশ
দিল্লির বাসিন্দা মধু পুর্ণিমার বিরুদ্ধে
মহিলা মুছে দিয়েছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা পুলিশ মধু পুর্ণিমা কিশোরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। মধু পুর্ণিমা কিশোর দিল্লির বাসিন্দা। শিক্ষাবিদ ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে তিনি পরিচিত। কলকাতা পুলিশের অভিযোগ মহিলা অধিকার কর্মী যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন সেটি কলকাতার নয়। বাংলাদেশে হওয়া মিছিলকেই কলকাতার বলে দাবি করেছেন মধুপুর্ণিমা।
১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভিডিও দেখা গিয়েছিল, মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ একটি শহরের প্রাণকেন্দ্রে একটি রোডশোতে অংশ নিয়েছেন। সঙ্গে ব্য়াকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসেবে একটি গান বাজচ্ছে। সেটি বাংলা গান। আর সেই গানে বাংলাদেশের পরিচিত একটি গান। গানটিতে বলা হয়েছে হিন্দুস্থান অর্থাৎ ভারত ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাই এর কোনও জায়গা হবে না। সেই ভিডিওটিতে পুলিশ সদস্যদেরও দেখা গিয়েছিল। কলকাতা পুলিশের দাবি ভিডিওটি মূলত বাংলাদেশের। আর অভিযুক্ত মধু পুর্ণিমা কিশোর দাবি করেছেন ভিডিওটি কলকাতার।
কিশোারের এই ট্যুটিটে ভুয়ো বলেই দাবি করেছে কলকাতা পুলিশ। আর সেই কারণেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের যুগ্ন কমিশনার মুরলীধর শর্মা জানিয়েছেন মধু পুর্ণিমার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। বাংলাদেশের ট্যুইটকে তিনি কলকাতার বলে দাবি করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে চেয়েছিলেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানান হয়েছে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। কলকাতা পুলিশের আইটি সেলই মধু পুর্ণিমার পোস্ট করা ট্যুইটের ওপর ভুয়ো লিখে পোস্ট করেছে। কলকাতা পুলিশের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, ভুয়ো খবরের মাধ্যমে যাঁরা হিংসা ছড়ায় তাঁদের ওপর নজর রাখা জরুরি।
মধু পুর্ণিমা জানিয়েছেন তিনি ভুল করে এই বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। আর তা জানান পরই তিনি তা মুছে দিয়েছেন। উল্লেখ্য যে সোমবার দুপুর ৩টে পর্যন্ত মধু পূর্ণিমার পোস্টটি আড়াই হাজারেরও বেশি বার রিটুইট হয়েছে। আর ৪শোর বেশি মানুষ কমেন্ট করেছেন। মধু পুর্ণিমারই এক সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার জানিয়েছেন এর আগেই বাংলাদেশের বিতর্কিত ভিডিও ভারতের বলে পোস্ট করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।