এবার বিজেপি-তেও ধরল ফাটল, শিবরাজ-নরোত্তম দ্বন্দ্বে আরও সঙ্কটে মধ্যপ্রদেশ

মঙ্গলবারই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

তাঁর সঙ্গে পদত্যাগ করেন ২১ জন কং বিধায়ক-ও

বিজেপির পক্ষে মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতা দখলটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা ছিল

কিন্তু, এবার বিজেপি-তেও ফাটল দেখা দিল

amartya lahiri | Published : Mar 11, 2020 7:54 AM IST

মঙ্গলবার হোলির দিনটা বিজেপির জন্য দারুণভাবে শুরু হয়েছিল। সকাল সকালই মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত করে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তার পরপরই ২১ জন কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ করেছিলেন। ফলে বিজেপির পক্ষে মদ্যপ্রদেশের ক্ষমতা দখলটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু, দিনের শেষে ফের নাটকীয় পরিবর্তন ঘটল  মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক ঘটনাক্রমে।

কংগ্রেসের পর ক্ষমতার সামনে দাঁড়িয়ে বিজেপি দলের মধ্যেও ভাঙনের সম্ভাবনা উঁকি দিতে শুরু করল। মঙ্গলবার রাতে ভোপালে বিজেপির বিধায়কদের বৈঠকে তীব্র দ্বন্দ্বে জড়ালেন বিধায়ক নরোত্তম মিশ্র ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান-এর সমর্থকরা। এই দুই নেতাই দীর্ঘদিন ধরে কমলনাথ সরকারকে স্থিতিশিলতা নষ্ট করার চেষ্টা করছিলেন। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার কংগ্রেস সরকারকে বিশৃঙ্খল করার কৃতিত্ব কার তাই নিয়ে তর্কে জড়ান দুই নেতার সমর্থকরা। নরোত্তম মিশ্রর সমর্থকরা দাবি করেন, কংগ্রেস সরকারকে কাদের মুখে দাঁড় করানোর পিছনে শিবরাজ সিং চৌহানের কোনও ভূমিকাই নেই।

মঙ্গলবারই কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং দাবি করেছিলেন বিজেপির পক্ষ থেকে কমলনাথ সরকারকে ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তবে শিবরাজ সিং চৌহান ও নরোত্তম মিশ্র, দুজনেই বারবার বর্তমান এই বিষয় অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, এটা কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সমস্যার ফল। তবে, বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে নরোত্তম মিশ্র এবং শিবরাজ সিং চৌহান দুজনেই মধ্যপ্রদেশ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন। অপারেশনটির নাম দেওয়া হয়েছিল 'রংপঞ্চমি'। কারণ তাদের পরিকল্পনা ছিল হোলির দিনই কমলনাথ সরকার-কে উৎখাত করা। কিন্তু, তা শেষ পর্যন্ত হয়নি।

শিবরাজ সিং চৌহান, এর আগে তিনবারের মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথম পছন্দ হবেন অবশ্যই তিনিই। কিন্তু, রাজ্যে শিবরাজ সিং চৌহান আগের মতো জনপ্রিয় নন। বিশেষ করে কৃষি অধ্যূষিত এলাকায় বিদেপির খারাপ ফলের জন্য তাঁকেই দায়ী করা হয়। এই জায়গা থেকেই উঠে আসছে নরোত্তম মিশ্রর নামও।

এদিকে, শেষ পর্যন্ত সেই পরিস্থিতি তৈরি হবে কিনা, তাই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সোমবার কংগ্রেসের যে ১৭ জন বিধায়ককে বিজেপি-শাসিত কর্ণাটকে গা ঢাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা ঘটনাক্রমে বিচলিত। তাদের মধ্যে দু'জন মন্ত্রী-সহ মোট দশ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে অনিচ্ছুক বলে শোনা যাচ্ছে। তারা বলছেন, কংগ্রেসে অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পক্ষে সমর্থন জানাতেই তাঁরা বেঙ্গালুরুতে এসেছিলেন। কিন্তু বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার কথা ভাবেননি।

 

Share this article
click me!