নাথুরাম গডসের নৃশংসতার স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছিলেন সাধভি প্রজ্ঞা। ভোট প্রচারের সময় নাথুরাম গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। দলেও তাঁকে তিরস্কৃত হতে হয়। তিরস্কার করেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। এবার সেই একই প্রসঙ্গে কথা বল কথা বলে, বড় বিপদে পড়লেন মহারাষ্ট্রের মহিলা আইএএস অফিসার নিধি চৌধুরী। তাঁকে নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে শরদ পাওয়ারের দল এনসিপিতে। ইতিমধ্যেই তাঁকে বরখাস্ত করার দাবিতে পথে নেমেছে। ঠিক কী করেছিলেন নিধি?
জানা যাচ্ছে গত ১৭ ই মে নিধি একটি টুইটারে গান্ধীকে নেহাতই অকর্মণ্য এবং ব্যর্থ বলে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। তাঁর দাবি ছিল দেশের যত টাকায় গান্ধীর মূর্তি মুখ বসানো রয়েছে সেগুলিকে নষ্ট করে ফেলা হোক। একই সঙ্গে তিনি দাবি তোলেন দেওয়াল থেকে নামিয়ে ফেলা হোক গান্ধীর ছবি, দেশের যেখানে যত গান্ধীর মূর্তি আছে সব ধ্বংসের ফতোয়া জারি করে দেন। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয় এনসিপি।
নিধি অবশ্য নিজের দোষ মানতে নারাজ। তাঁর কৈফয়ত, "আমি গন্ধীকে অপমান করতেই চাইনি। আসলে কেউ বুঝতে চাইছে না আমার টুইটারটি ছিল ঠাট্টা করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম মন্তব্য বিরূপ সমালোচনায় অনেকটা বিরক্ত হয়ে আমি এই সমালোচনাকারীদের ব্যঙ্গ করতেই এই মন্তব্য করেছিলাম।"
প্রসঙ্গত গান্ধী বিতর্ক নতুন নয়। লোকসভা ভোটের সময় বার বার এসেছে গান্ধীর প্রসঙ্গ। সাধ্বী প্রজ্ঞা, ভূপালের বিজয়ী সাংসদ, সব থেকে বেশি জল্পনা তৈরি করেছিলেন গান্ধীর প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করে। নাথুরাম গডসেকে দেশপ্রেমিক বলে যেন গান্ধী হত্যাকেই মান্যতা দিয়ে ফেলেন সাধ্বী। এদিন প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নিধির মন্তব্য নিয়েও। একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মী কী ভাবে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেন, তাই নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। প্রত্যেকেরই দাবি বৃহৎ মুম্বাই পুরসভার আধিকারিক মহিলা এই আইএএস অফিসার কে এক্ষুনি বরখাস্ত করা হোক