
Girl beaten to death by father: ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্টের (National Eligibility cum Entrance Test) মক টেস্টে খারাপ ফল হয়েছে। এই কারণে মেয়েকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন এক ব্যক্তি। তিনি আবার এক বেসরকারি শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের প্রধান। এই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) সাংলি জেলায় (Sangli district)। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম ধুন্ডিরাম ভগবান ভোসালে (Dhondiram Bhagwan Bhosale)। তাঁর বয়স ৫০ বছর। মৃতার নাম সাধনা (Sadhana)। তাঁর বয়স ১৭ বছর। তিনি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছা ছিল এই কিশোরীর। তিনি ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। কিন্তু নিটের মক টেস্টে ফল ভালো হয়নি। সে কথা জানতে পেরেই সাধনাকে মারধর করতে শুরু করেন তাঁর বাবা। এর জেরে এই কিশোরী প্রাণ হারান। এই ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন সাধনার মা প্রীতি ভোসালে (Preeti Bhosale)। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ধুন্ডিরামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে বাবার মারে গুরুতর জখম হন সাধনা। পরের দিন সকালে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান মা। সাধনার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। মেয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করার পর থানায় যান প্রীতি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ধুন্ডিরামের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (Bharatiya Nyaya Sanhita) ১০৩ (১) ধারা এবং নাবালক ন্যায়বিচার আইনের (২০১৫) (Juvenile Justice Act, 2015) ৭৫ ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রীতি জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৫ শতাংশ নাম্বার পেয়েছিলেন। তিনি ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন। পরিবারের সবারই আশা ছিল, ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো ফল করবেন সাধনা। কিন্তু মক টেস্টে ফল ভালো না হওয়ায় সবাই হতাশ হন। তবে তার জন্য বাবা যে মেয়েকে এভাবে পিটিয়ে মারবেন, তা কেউই ভাবতে পারেননি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।